নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর ফুটবলাদের দু’দিনের বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস। দু’দিনের ছুটি শেষেই এদিন থেকেই অনুশীলন করল জনি কাউকো, জেসন কামিন্সরা। বঙ্গে শীত নেই। রোদের তাপ প্রচুর। চড়া রাস্তায় দশ মিনিট হাটলেই ঘাম বেরোচ্ছে। সেই রোদের মধ্যে ওডিশার ম্যাচের প্রস্তুতি সারল মোহনবাগান। ওডিশা ম্যাচ এখনও দেরি আছে তিনদিন। অর্থাৎ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ওডিশার ঘরের মাঠে খেলতে যাবে মোহনবাগান। এদিনের অনুশীলনে কী করল মোহনবাগান? সেটপিস প্র্যাকটিস, সিচ্যুয়েশন প্র্যাকটিস করা, এছাড়া হাবাস ফুটবলারদের দু’দলে ভাগ করিয়ে ম্যাচ খেলিয়েছেন। অনুশীলন সেরে বেরানোর সময় কামিন্সদের ফুরফুরে মেজাজে দেখা গিয়েছে। এদিন প্র্যাকটিসে ছিলেন ব্রেন্ডন হামিলও। তিনিও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। ওডিশার বিরুদ্ধে তাঁর খেলার সম্ভাবনা একদমই নেই।
সবুজ মেরুনের সামনে সমীকরণ, ওডিশাকে হারালেই লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে আসবে তাঁরা। আইএসএল লিগ শিল্ড জেতা একমাত্র লক্ষ্য মোহনবাগানের। ওডিশাকে হারিয়েই শীর্ষ স্থান দখল করতে চায় হাবাসের দল। চলতি মরসুমে এএফসি কাপ ও আইএসএল মিলিয়ে তিনবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে মোহনবাগান-ওডিশা। আইএসএল লিগ শীর্ষে থাকা ওডিশাকে মাত্র একবারই হারাতে পেরেছে বাগান। উপরন্তু শেষ দু’টি ম্যাচে ওডিশার কাছে সাত গোল খেয়েছে মোহনবাগান। এএফসি কাপের ম্যাচে পাঁচ গোল হজম বাগানের। হাবাস যবে থেকে দলটার দায়িত্ব নিয়েছেন, ছন্দে ফিরেছে দল। আইএসএলে শেষ চার ম্যাচে অপরাজিত বাগান। দলগত ফুটবলে জয়ের হ্যাটট্রিক সেরেছে তাঁরা। জনি কাউকো ফেরায় আরও শক্তি বেড়েছে। দলের খেলার পরিচালনা দায়িত্ব হাবাস, কাউকোর হাতে তুলে দিয়েছেন। এটিকে মোহনবাগানের কোচ থাকাকালীন হাবাসই পছন্দ করে কাউকোকে নিয়ে এসেছিলেন। নর্থ ইস্ট ম্যাচে ঝলক দেখা গিয়েছে কাউকোর। একাই তিনটি গোলের পাস বাড়িয়েছেন তিনি। মাঝমাঠে কাউকোর মতো বড় চেহারার ফুটবলার আসায়, লাভ হয়েছে। অনেক লোড নিয়ে খেলছেন। কার্যত পুরো মাঠ জুড়ে। ডিফেন্স-আক্রমনে দু’দিকই সামলাচ্ছেন। মোহনবাগানের আক্রমন শুরু হচ্ছে কাউকোর পা থেকেই। ওডিশা দলে রয়েছেন বড় চেহারার আহমেদ জাহুর মতো ফুটবলার। দু’জনের খেলার স্টাইল পুরোপুরি নাম মিললেও, অনেকটাই একই টাইপের। মোহনবাগান-ওডিশা ম্যাচে এই দু’জনের পারফরম্যান্স পার্থক্য গড়ে দেবে, সেটা বলেই দেওয়া যায়। কাউকো ভালো খেললে জেতার সুযোগ তৈরি হবে বাগানের। জাহু ভালো খেললে ওডিশার। তবে মাঝমাঠে এই দু’ফুটবলার একা খেলবেন না, তাঁদের সঙ্গত করার জন্য বাগানে রয়েছেন থাপা, সাহালদের মতো ফুটবলাররা। ওডিশায় আছে পুইতিয়া, রেবোলোর মতো ফুটবলাররা।
লিস্টন, পেত্রাটোস, কামিন্সরা গোলের মধ্যে রয়েছেন। সাহাল নিজে গোল করছেন, করাচ্ছেনও। ফলে সবদিকেই বৈচিত্র রয়েছে বাগানে। ওডিশার রয় কৃষ্ণারা গোলের মধ্য রয়েছেন। সবমিলিয়ে এটা বলা যায়, মোহনবাগান-ওডিশা ম্যাচের ফলাফল অনেকটাই ঠিক করে দেবে আইএসএল শিল্ডে সম্ভাব্য বিজয়ীর নাম। সাপ লুডোর লিগ। টেবিলে ওঠা-নামা থাকবেই। পরিস্থিতি অনুযায়ী দু’দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।
Comments :0