MD SALIM PANCHAYAT

শান্তিপূর্ণ ভোট চাইছে বাংলা: ভিডিও বার্তায় সেলিম

রাজ্য

MD SALIM PANCHAYAT

পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গড়ে তোলার নজির ছিল পশ্চিমবঙ্গে। এ রাজ্যেই  ধ্বংস করা হয়েছে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। মানুষ ক্ষুব্ধ, আক্রান্ত। সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং তৃণমূলের দুর্বৃত্তরাজের বিপক্ষে সব অংশকে একজোট করে ভোট লড়ছে বামপন্থীরা। রবিবার ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।

মনোনয়ন তোলার দিনই মুর্শিদাবাদে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে সর্বদলীয় সভায় যোগ দিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা। মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট করানো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব মনে করিয়েছে বামফ্রন্ট। 

সিপিআই(এম)’র এই পলিট ব্যুরো সদস্যের বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির টুইটার হ্যান্ডেলে। সেলিম বলেছেন, ‘‘হঠাৎ করে ভোট ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা তৈরি ছিলাম।’’ 

৮ জুন নির্বাচন ঘোষণা করে রাজ্য কমিশন। ৯ জুন থেকে মনোনয়ন তোলার দিন ঘোষণা করা হয়। এবারই প্রথম কোনও সর্বদলীয় বৈঠক না করে ঘোষণা হলো নির্বাচনের। কিন্তু ৯ জুনই প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলতে চলে যান। দেখা যায় কমিশনেরই প্রস্তুতি নেই। বামপন্থীরা গত কয়েক মাস টানা পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার দাবিতে মিছিল করেছেন। স্লোগান তুলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি চ্যালেঞ্জ নাও, পঞ্চায়েতের তারিখ দাও।’ 

সেলিম রবিবার বলেছেন, ‘‘সারা দেশেই গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ চলছে। পশ্চিমবঙ্গ তার বাইরে নয়। এখানে বিরোধীদের কন্ঠস্বর রোধ করা হচ্ছে, মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’’

তৃণমূলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি গতবারের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা মনে করিয়েছেন। সেলিম বলেছেন, ‘‘কমিশন এবং পুলিশ, ২০১৮’র পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযানে জড়িত ছিল। পঞ্চায়েতকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’ 

এবারের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘একজোট না হলে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। সে কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি চলেছে গত এক বছর ধরে। জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকার দায়িত্ব নিয়েই ১৯৭৭ সালে গ্রামের সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্য জানিয়েছিল। তার থেকে শিক্ষা নিয়ে সংবিধান সংশোধন করে সারা দেশে চালু হয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। পশ্চিমবঙ্গেই সেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।’’

সেলিম বলেছেন, ‘‘মানুষ ক্ষুব্ধ। রেগা, আবাস যোজনা কাজ বন্ধ। গ্রামে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সঙ্কট তীব্র। গত এক বছর বামফ্রন্ট নিজেরা সংগঠিত হয়েছে। বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং তৃণমূলের দুর্বৃত্তায়নের বিপক্ষে রয়েছে বিভিন্ন অংশকে সংগঠিত করেছে। মানুষ শান্তিপূর্ণ ভোট চাইছেন।’’   

Comments :0

Login to leave a comment