NEET POLIT BUREAU

সিবিআই-কে তদন্তের ভার নিছকই লোক দেখানো, শিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে পলিট ব্যুরো

জাতীয়

অযোধ্যার অওয়ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি এসএফআই’র।

নিট-নেট প্রবেশিকা দুর্নীতির তদন্তের ভার সিবিআই-কে দেওয়া নিছকই লোক দেখানো। পরপর দুর্নীতি, প্রশ্ন ফাঁস এবং পরীক্ষা স্থগিতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে একথা বলল সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। 

পলিট ব্যুরো দাবি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পদত্যাগ করতে হবে।

সিবিআই তদন্তকে লোক দেখানো কেন বলা হচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে পলিট ব্যুরো। রবিবার বিবৃতিতে মনে করানো হয়েছে মধ্য প্রদেশের ‘ব্যাপম’ দুর্নীতিতেও সিবিআই-কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল। মূল অপরাধীরা আজও অধরা। 

মধ্য প্রদেশে বিজেপি সরকারের সময়ে রাজ্য সরকারি নিয়োগে ভয়াবহ দুর্নীতি ধরা পড়ে। দুর্নীতির সাক্ষী, অভিযুক্ত, অভিযোগকারী মিলিয়ে যুক্ত অনেককে খুনও করা হয়। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সময়ের এই দুর্নীতির দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়া হয়েছিল।  

পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘‘সিবিআই-কে ডেকে দায়িত্ব দেওয়ায় নিশ্চিত হয়েছে বিষয়টির লোক দেখানো তদন্তই চাইছে কেন্দ্রী আসীন নতুন সরকার। বোঝা যাচ্ছে এদের উচ্চ শিক্ষা নীতি একেবারে ধসে পড়েছে, তার জন্য পুরো সরকারই দায়ী, বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রী। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।’’

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতির একাধিক তদন্তের ভার রয়েছে সিবিআই এবং ইডি’র কাছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গিয়েছে তদন্তের ভার। কিন্তু মূল অপরাধীরা এখানেও অধরা। বস্তুত তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে বারেবারেই খেদ জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।  

পলিট ব্যুরো দাবি, উচ্চ শিক্ষায় কেন্দ্রীকরণের রাস্তা থেকে সরতে হবে সরকারকে। এই কেন্দ্রীকরণেরই জন্যই এনটিএ’র মাধ্যমে সব পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীকরণ ভাঙতে হলে প্রথম ধাপ হবে জাতীয় স্তরের মেডিক্যাল প্রবেশিকা বাতিল করা। পেশাদারি শিক্ষায় ভর্তির প্রবেশিকার ব্যবস্থা প্রতিটি রাজ্যকেই করতে দেওয়া উচিত।

এর আগে মেডিক্যাল প্রবেশিকার বেশিরভাগই হতো রাজ্য স্তরের ব্যবস্থাপনায়। বহু রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও জাতীয় স্তরে একটি পরীক্ষা চালু করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। ২০১৬ থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়। সব পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে করানোর জন্য ২০১৭’তে তৈরি হয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ। পরে এই সংস্থাই পরীক্ষা নিতে থাকে। এনটিএ’র একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেছে ৪ জুন মেডিক্যাল নিট’র ফল বেরনোর পর। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় বাতিল হয়েছে অধ্যাপক নিয়োগের ইউজিসি-নেট, মেডিক্যাল স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকাও।     

Comments :0

Login to leave a comment