Water crisis

পানীয় জলের অভাবে রাস্তা অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের

রাজ্য জেলা

পানীয় জলের দাবিতে দেবানন্দপুরে রাস্তা অবরোধ। ছবি অভীক ঘোষ।

তীব্র গরমে পানীয় জলের কষ্ট। জল না পেয়েই শুক্রবার দেবানন্দপুরে রাস্তা অবরোধ বাসিন্দাদের।

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই সময়ে পানীয় জলের হাহাকার দেবানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। গত কয়েক মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার দেবানন্দপুরের বিশালক্ষ্মিতলা,মালপাড়া সহ বেশ কয়েটি এলাকার বাসিন্দারা। গরম পরতেই সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। আর এই সময় জল না পেয়ে দারুন কষ্টে বাসিন্দারা। আজ দেবানন্দপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন তারা।

বাসিন্দাদের অভিযোগ জলের লাইন দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন কিন্তু জল সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। অনেক বাড়িতে জল পৌঁছায় না। পঞ্চায়েত এলাকার জনপ্রতিনিধি এমনকি বিধায়ককেও জানানো হয়েছে কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার এলাকা ঘুরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জলের সমস্যা মেটানোর কিন্তু তাও কাজ হয়নি।

দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের সদস্য পীযূষ কান্তি ধর জানিয়েছেন, ‘জলের সমস্যা আছে এটা বাস্তব। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কাছে জল পৌঁছে দেওয়া যায়। তীব্র গরমে জলের লেয়ার নেমে যাওয়াতেই পাম্প চালিয়ে ওভার হেড রিজার্ভার ভরতে সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েতে দুটি মাত্র রিজার্ভার রয়েছে। তা দিয়ে সব এলাকায় জল দেওয়া যাচ্ছে না। গরমের জন্য ঠিকাদারের লোকজন কাজ করতে চাইছে না। আরও দুটি পাম্প বসানোর জন্য পিএইচই কে বলা হয়েছে।’

কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যের কথা মানতে নারাজ এলাকার বাসিন্দাররা। তারা জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েতকে চার হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে জলের লাইন দেওয়ার জন্য। তার পর ও এমন কষ্ট পেতে হচ্ছে। যেখানে সকাল ৬ টার সময় জল আসার কথা সেখানে সকাল ১০ দশ টা বেজে যায় জল আসতে আসতে। জল আসলেও বালতি ভর্তি হতে সময় লেগে যায় কয়েক ঘন্টা।

গ্রামবাসী মানস বিশ্বাস বলেন, ‘জলের সমস্যা না মেটালে গ্রামের কেউ পঞ্চায়েতে ভোট দিতে যাবে না। বহুবার সবাইকে বলা হয়েছে কেউ সুরাহা করেনি। গ্রামের মহিলারা বিধায়ককে ফোন করে দেবানন্দপুরে যেতে বলেন,তাদের জলের সমস্যা মেটাতে কি করছেন সেটা জানতে। বিধায়ক জানিয়ে দেন তিনি যাবেন না।’

স্হানীয় সিপিআই(এম) নেতা মলয় সরকার জানান, ‘আগে এই এলাকার লোকজন সরস্বতী নদীর জলের উপর ভরসা করতো। এখন সেই জল ও ব্যবহার করা যায়না। গোটা পঞ্চায়েত এলাকাতে ১৭৩ টা চাপা কল ছিলো। সে গুলো এখন বিকল হয়ে আছে। পঞ্চায়েতের কোন হেলদোল নেই, মানুষ কি ভাবে থাকবে তাতে এদের কোন নজর নেই।’

শুক্রবার দেবানন্দপুরের পাশাপাশি রাজহাট এলাকাতেও পানিও জলের দাবিতে অবরোধ চলে বেশ কিছু ক্ষণ।

Comments :0

Login to leave a comment