ছুটির দিনেই শুনানিতে বসেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে কলকাতা হাইকো্র্ট সংক্রান্ত মামলার। কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি এবং সৌমেন সেনের বিরোধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। যার মূলে রয়েছে ডাক্তারিতে সংরক্ষিত আসনে ভুয়ো শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভর্তির অভিযোগ।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট সব মামলায় স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে। নোটিশ পাঠানো হচ্ছে রাজ্য সরকরা এবং কলকাতা হাইকোর্টকে। আপাতত সিবিআই তদন্ত চালু থাকবে না।
দুর্গাপুরের এক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি গাঙ্গুলি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের রায়ে ত্রুটি দেখিয়ে বিচারপতি গাঙ্গুলি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, সিবিআই’কে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেন। বিচারপতি সৌমেন সেনের বিপক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানান বিচারপতি গাঙ্গুলি।
প্রাথমিক অভিযোগ সিবিআই দায়ের করেছে এর মধ্যেই। রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বছরে ২৬০০-২৮০০ ছাত্রছাত্রী সংরক্ষিত আসনে ভর্তি হন। দশ বছরে এই সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে। নিয়ম অনুযায়ী তিনবার জাতভিত্তিক শংসাপত্র দাখিল করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। একবার আবেদন, পরেরবার কাউন্সেলিং এবং শেষে ভর্তির সময়ে। তপশিলি জাতি, আদিবাসী, অন্য অনগ্রসর অংশ (ওবিসি’, আর্থিক বিচারে দুর্বল অংশের মতো মাপকাঠিতে সংরক্ষণ চালু হয় কেন্দ্রীয় স্তরে। কেননা মেডিক্যালে ভর্তির পরীক্ষা ‘নিট’ কেন্দ্রীয়ভাবে নেওয়া হয় সারা দেশে।
অভিযোগ, সংরক্ষিত আসনে ভর্তির জন্য ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে কম নম্বর সত্ত্বেও একাংশ রাজ্যে ডাক্তারি পাঠরত। সংরক্ষণের প্রকৃত দাবিদাররা সুযোগ পাননি। ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।
Comments :0