FARMER SUICIDE

মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে ৭ মাসেই আত্মঘাতী ৭৩ কৃষক

জাতীয়

FARMER SUICIDE

কেবল চলতি বছরেই ৭৩ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন একটি জেলায়। মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে আত্মঘাতী কৃষকের এই খতিয়ান জানুয়ারি থেকে জুলাই, মাত্র এই ৭ মাসের। 

কোন কোন আত্মঘাতী কৃষকের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ, তা ঠিক করতেই সমীক্ষা করেছে জেলা প্রশাসন। দেখা গিয়েছে ২০০১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আত্মঘাতী কৃষকের সংখ্যা, কেবল এই জেলায়, ১ হাজার ১৪৮। তার মধ্যে গত পাঁচ বছরে আত্মঘাতী হয়েছেন ৪৪৬ জন কৃষক। সংখ্যার বিচারে স্পষ্ট, গত ২২ বছরে আত্ঙঘাতী কৃষকের প্রায় অর্ধেক কেবল গত পাঁচ বছরে।

কৃষক আত্মহত্যা বেড়েছে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের শাসনে, বারবার এই অভিযোগ তুলছে সারা ভারত কৃষকসভার মতো একাধিক কৃষক সংগঠন। বীজ, সারের মতো কৃষি উপকরণের দাম চড়া হারে বেড়ে যাওয়া থেকে ফসলের দাম না পাওয়ার অভিযোগে সরব কৃষক সংগঠনগুলি। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা শস্যহানিতে বিপন্ন কৃষককে সাহায্য করছে না, এই অভিযোগও করছেন তাঁরা। চন্দ্রপুর এমন অভিযোগের জ্বলন্ত প্রমাণ।

আত্মঘাতী কৃষকের পরিবারকে দেওয়া হবে মাত্র ১ লক্ষ টাকা। সেই টাকা পাওয়ার উপযুক্ত কে, আর কে নন, তা দেখতেই সমীক্ষা চালিয়েছিল জেলা প্রশাসন। ২০০১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত নামের তালিকা থেকে ৭৪৫ আত্মঘাতী কৃষক পরিবারকে ‘যোগ্য’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আত্মঘাতী আরও ৩২৯ কৃষকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হয়েছে। ৪৮টি আবেদনের ফয়সালা এখনও করে উঠতে পারেনি প্রশাসন। শস্যহানি, ব্যাঙ্ক বা মহাজনের ঋণ শোধে অক্ষমতার মতো ঘটনা সরকারি মাপকাঠিতে ‘যোগ্য’ বলে বিবেচিত হয়। 

জুন-জুলাইয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির তালিকায় রয়েছে চন্দ্রপুর। ৫৪ হাজার ৫১৪ হেক্টরের ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে এবারের বন্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৩৭৯। জেলার মোট ৮৫২টি গ্রাম বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment