SEC SUPREME COURT

সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন, রাজ্যও
মিথ্যাভাষণ মমতার, ক্ষোভ বামফ্রন্টের

রাজ্য

SEC SUPREME COURT বৃহস্পতিবার কমিশনের সামনে বামফ্রন্টের বিক্ষোভের ছবি।

কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও শীর্ষ আদালতে আবেদন দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার, মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন, রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কমিশনের ভূমিকা স্পষ্ট অসন্তোষও জানায়। কেবল শুক্রবারই বিরোধী দলগুলির তিন কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। বিরোধীদের মনোনয়ন ঠেকাতে ব্লক দপ্তর ঘিরে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীর বেপরোয়া আক্রমণের ছবিও ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। 

বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভও দেখায় বামফ্রন্ট। শুক্রবার কাকদ্বীপে দলের ‘নবজোয়ার যাত্রা’ ঘিরে আয়োজিত সভায় ভয়াবহ হিংসার দায় অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। এমনকি নির্দ্বিধায় দাবি করেন যে অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন পর্ব হয়েছে এবারই। মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়ে দেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশে না-খুশ তিনি। 

বামফ্রন্ট বারবারই বলছে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে না। পুলিশের মতোই সরকারের তল্পিবাহকের ভূমিকা নিচ্ছে। সে কারণে ব্লক দপ্তরে, যেখানে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানেও তৃণমূলের বাহিনী ভিড় করে বিরোধীদের আক্রমণ করছে। 

রাজ্যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ৩স্তরে ৭৩,৮৮৭ টি আসনে মোট ২,৩১,৩৯৮ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে একা তৃণমূল দলই, তার সব উপদল সহ ৮২,৮২৭ টি মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। ১৭,৩৭৬ জন নির্দল প্রার্থী আর সব বিরোধী দল মিলিয়ে ১,৩২,৭২৮ টি মনোনয়ন পত্র জমা করতে পেরেছে বোমা, বন্দুক, লাঠি- সোঁটা, পুলিশি বাধা সব পেরিয়ে।

সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে জেলায় দাঁড়িয়ে অবাধ সুষ্ঠু মনোনয়ন জমার গপ্পো শুনিয়েছেন সেই দক্ষিণ পরগণা জেলাতেই ৫টি ব্লকের ১টি গ্রাম পঞ্চায়েত, সমিতি বা জেলা পরিষদের আসনে ১জনও বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। ওনার প্রাণের ভাইপো'র লোকসভা কেন্দ্রের ২টি ব্লকের কোনও স্তরে ১জন বিরোধী প্রার্থীকেও মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি।’’

লাহিড়ীর ক্ষোভ, ‘‘ মনোনয়ন জমা দেওয়া বিরোধী প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি সশস্ত্র দুস্কৃতি ও পুলিশের হামলা শুরু হয়ে গেছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া সহ। ফলে কতজন টিঁকে থাকবেন তা ২০শে জুনের পরেই বোঝা যাবে। রাজ্য জুড়ে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের যে পরিমাণ অস্ত্র হাতে দেখা গেছে, তা কি পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের হাতে আছে? এই বাস্তবতাকে লুকাবার জন্যই দুষ্কৃতীদের নয়নের মণি মুখ্যমন্ত্রীকে নির্জলা মিথ্যার আশ্রয় আবারও নিতে হয়েছে।’’    

Comments :0

Login to leave a comment