BUDGET SALIM

বিপুল দেনা, চাকরি কেবল চুক্তিতে, বাজেট প্রসঙ্গে বললেন সেলিম

রাজ্য

ছবি সংগ্রহ থেকে।

দেশের মতো রাজ্যেও বিপুল দেনার ওপর ভরসা করছে সরকার। চাকরি কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক আর প্রকল্পকর্মী ছাড়া নিয়োগ নেই। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বসে রয়েছেন রাস্তায়। 
বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট নিয়ে এই মর্মে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বছরে ২ লক্ষ করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ধার করা সংসারে আয়ের ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। বাজেটেরও গুরুত্ব থাকে না।’’  
এদিন বাজেট নথিতেই জানানো হয়েছে রাজ্য এবার ৭৯,৭২৭ কোটি টাকা ঋণ নেবে। রাজ্যের পুঞ্জীভূত ঋণের আয়তন দাঁড়াবে ৬,৯৩,২৩১.৬৬ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের মেয়াদে স্বাধীনতার পর থেকে জমা মোট ঋণ বা পুঞ্জীভূত ঋণ ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকার কম। ষাট বছরের কিছু বেশি সময়ে জমা হয়েছিল সেই ঋণ। আর মাত্র ১৩ বছরে অতিরিক্ত ৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রেখেছে রাজ্য। যার বেশিরভাগই বাজার থেকে ঋণ, বামফ্রন্টের মেয়াদের মতো ডাকঘরে স্বল্প সঞ্চয়কে উৎসাহিত করে নেওয়া ঋণ নয়। 
সেলিম বলেছেন, ‘‘প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দাঁড়াচ্ছে। দেশেও সরকারের প্রধান ভরসা ঋণ। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আয়ের জন্য ভরসা আবগারি। মানে মদ বিক্রি করে আয়ের ওপরই ভরসা রাখছে সরকার।’’ 
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রের তথ্যের উল্লেখ করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘৩ বছরের তথ্যে দেখা গিয়েছে আমাদের রাজ্যে আইজিএসটি বা সিজিএসটি বাবদ আদায় কমছে। সব রাজ্যে কিন্তু এমন হচ্ছে না। তার মানে মানুষের চাহিদা কমছে, কেনাকাটি কমছে। অথচ উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়ার দাবি করছে সরকার।’’ 
তিনি বলেছেন, ‘‘যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছে। তা’হলে চাকরির প্রতিশ্রুতি কোথায় যাচ্ছে? কেন্দ্রেরও একই নীতি। স্থায়ী পদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে না।’’ 
এদিন বাজেট ভাষণের শুরুতে রাজ্য সঙ্গীতের বিরোধিতা করে হইচই বাঁধায় বিজেপি। জাতীয় সঙ্গীতের দাবি তুলতে থাকে। এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘আবার বাইনারি তৈরির নয়া কৌশল। দু’টো গানই রবীন্দ্রনাথের।’’ বিজেপি’র প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আরএসএস তো জনগণমন গানের বিরোধিতা করেছিল। ওরা এই জাতীয় সঙ্গীতের বিরোধী। এই গানে ভারতের বৈচিত্রের কথা বলা রয়েছে। ওরা বৈচিত্রকে ভাঙতে চায়।’’
সেলিমের মন্তব্য, ‘‘বাজেটে নিয়োগ বা দুর্নীতির প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে এসব হচ্ছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment