Dr Fuad Halim

টিটাগড়ে কনভেনশনে জাতভিত্তিক জনগণনার দাবি

রাজ্য জেলা

 

 লব মুখার্জী - টিটাগড়

 

গরীব মানুষদের উচ্ছেদের চক্রান্ত করার জন্য জাতভিত্তিক জনগণনা করা হচ্ছেনা। সংগ্রামের মধ্য দিয়েই নিজেদের হক্ আদায় করা হবে। জাতভিত্তিক জনগণনা করতে হবে।  বুধবার টিটাগড়ের প্রকাশ্য কনভেনশনে একথা বলেন ডাঃ ফুয়াদ হালিম।

নির্বিচারে বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে, এনআরসি কার্যকর করার লক্ষ্যে সিএএ অবিলম্বে বাতিল, জাতভিত্তিক জনগণনা ও আর্থ সামাজিক সমীক্ষা চালু, আদিবাসী- সংখ্যালঘু -পশ্চাদপদ জনসাধারণের অধিকার রক্ষার এবং সর্বণাশা প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়ে টিটাগড় এমজি রোডের হনুমান মন্দিরের কাছে একটি প্রকাশ্য কনভেনশন হয় বুধবার। আহ্বায়ক ছিলো বারাকপুর মহকুমার পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি, ইউসিআরসি, আদিবাসী অধিকার মঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চ , পশ্চিমবঙ্গ খেত মজুর ইউনিয়ন, আওয়াজ এই ছয় সংগঠন যুক্ত ভাবে। শীত ও বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রকাশ্য কনভেনশন টি হয়।

প্রস্তাব উত্থাপন করেন ঝন্টু মজুমদার। কনভেনশন পরিচালনা করেন দেবশঙ্কর রায় চৌধুরী, পরিমল মিস্ত্রি এবং অনুপ মিত্রকে নিয়ে গঠিত সভাপতি মনূডলী। 

ফুয়াদ হালিম ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, চারণ চক্রবর্তী,  আশিম আখতার তপন সর্দার, অশোক বাল্মীকি। 

ব্লক ও পৌরাঞ্চল জুড়ে দাবি আদায়ের কর্মসূচির কথা ঘোষনা করা হয় কনভেনশন থেকে। 

মূল প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রুটি রুজির দাবি এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের বিরুদ্ধে ও জনবিরোধী কার্যকলাপ আড়াল করতে রাজনীতিতে ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করার কাজে বিজেপি সরকারের মতোই একই পথে চলছে তৃণমূল সরকার। শোষণ করা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টিকে ব্যবহার করে। 

ডাঃ ফুয়াদ হালিম বলেন, কেন্দ্রের সরকার জনগণনা শুরুই করেনি। রাজ্য সরকারও করছেনা। জনগণনা শুরু হলে মিথ্যা প্রচার ধরা পড়ে যাবে। গরীব মানুষের বাস্তব হাল কেমন সেকথা সামনে চলে আসবে। সেই কারণেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার জনগননা করছেনা। 

সিএএ বন্ধ করে জাতভিত্তিক জনগণনা করার দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, আদিবাসী অঞ্চলের জমি কেনার অধিকার করো নেই ।

দেশের সব রাজ্যে আদিবাসী বসতি পূর্ণ স্থানে বড়বড় কম্পানী বেআইনি ভাবে জমি নিয়ে নিচ্ছে। তাকে রুখতেই দাবি উঠেছে জঙ্গল থেকে শুরু করে সর্বত্র জাতভিত্তিক জনগণনা করতে হবে।

জমির মালিকানার দলিল কি ভাবে কতদিন আগে স্থির হয়েছিলো তার ইতিহাস তুলে ধরে ডাঃ ফুয়াদ হালিম বলেন, বস্তির মানুষ আদিবাসী পিছিয়ে পড়া মানুষ যেখানে বসবাস করেন তাঁদের সকলের জমির অধিকার সেখানেই। তিনি বলেন, প্যালেস্তাইনে বোমা দিয়ে, উত্তর প্রদেশে বুলডোজার দিয়ে, আর দেশের রাজ্য গুলিতে ধর্ম দিয়ে গরীব মানুষদের বাঁচার অধিকার ধ্বংস করা হচ্ছে। উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে এসব করা হচ্ছে। ভারতবর্ষে  এসবের বাইরে ঘরে ঘরে নতুন আক্রমণ শুরু হয়েছে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানোর মধ্যে দিয়ে।

 হয়রান করে বেশি মূল্যবান জমি থেকে গরীবদের উচ্ছেদ করার ব্যবস্থা হচ্ছে প্রিপেইড স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে। ডাঃ ফুয়াদ হালিম বলেন, বহু ধর্ম বর্ণের ভারতবর্ষকে যারা একটি ধর্মের দেশে পরিণত করতে চাইছে তারা আসলে ভারতবর্ষকে পিছিয়ে দিয়ে শোষন রাজ কায়েম করতে চাইছে।

Comments :0

Login to leave a comment