UMAR KHALID SC

দিল্লি হিংসা: সুপ্রিম কোর্ট পিছালো উমর খালিদের জামিন মামলা

জাতীয়

সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের কর্মী উমর খালিদের জামিন আবেদন পিছিয়ে গেল। কড়া আইন ইউএপিএ’তে তাঁকে বন্দি করেছে দিল্লি পুলিশ। ২০২০’তে দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসার মদত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন ছাত্রে বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার শুনানির সময় হাজির ছিলেন না বরিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিবাল। তাই শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ। এর আগে ৯ আগস্ট মামলার বিচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র। 

সোমবারই দিল্লির সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি স্থগিত করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সে সময় ‘গোলি মারো’ স্লোগান তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। বিদ্বেষভাষণ দিতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভার্মাকেও। তাঁদের নিম্ন আদালত ছাড় দেওয়ার বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন সিপিআই(এম) পলিট ব,উরো সদস্য বৃন্দা কারাত। 

দিল্লি পুলিশ দাঙ্গায় বিজেপি বা আরএসএস’র লোকজবজে ছাড় দিয়েছে। বিরোধী স্বর তুলেছে এমন অংশকে কারাবাসে পাঠিয়েছে। সিপিআই(এম) সহ বামপন্থী এবং বিজেপি বিরোধী অন্য অংশও এই অভিযোগ বারবার তুলেছেন। এদিন যে মামলা পিছিয়ে গিয়েছে তাতেও উমর খালিদ দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্টে খালিদের জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছিল। হাইকোর্ট গত বছরের অক্টোবরে জামিনের আবেদন খারিজ করে বলেছিল,‘প্রাথমিক বিচারে মনে করারর কারণ রয়েছে যে সন্ত্রাসমূলক কাজে জড়িত ছিলেন খালিদ।’’ হাইকোর্টে দিল্লি পুলিশ জামিনের আবেদনের কড়া বিরোধিতা করেছিল।  

২০২০’র সাম্প্রদায়িক হিংসায় বিজেপি এবং আরএসএস বিভিন্ন বাহিনীকে সরাসরি সক্রিয় থাকতে দেখা গেলেও মামলা হয়েছে সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে। খালিদ, শার্জিল ইমামের মতো যাঁরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে সরব ছিলেন, তাঁরাই জেলে। ২০২০’র সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় খালিদকে। একের পর এক মামলা তাঁর ওপরে চাপানো হয়। কোনও কোনও মামলায় জামিন মিললেও অন্য মামলার কারণে জেলে বন্দি তিনি। 

খালিদের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁর সন্ত্রাসে জড়িত থাকার সপক্ষে দেওয়া দিল্লি পুলিশের যুক্তিও রয়েছে বিভিন্ন অংশের আলোচনায়। ‘বাবরি মসজিদ’, ‘তিন তালাক’, ‘কাশ্মীর’, ‘সংখ্যালঘু মুসলিমদের দমন’ শব্দগুলি ছিল খালিদের বক্তৃতায়। সন্ত্রাসের সপক্ষে কাউকে জেলে ভরার জন্য যথেষ্ট কারণ তার মধ্যেই খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে চলা দিল্লি পুলিশ।    

Comments :0

Login to leave a comment