প্রথমে পুতিন। এবারে শি জিনপিঙ। ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে হতে চলা জি-২০ গোষ্ঠীর অষ্টাদশ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না রাশিয়া এবং চীনের রাষ্ট্রপতিরা।
সোমবার চীনের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এর থেকেই স্পষ্ট, জি-২০ বৈঠকে শি জিনপিং উপস্থিত থাকবেন না। কারণ, সাধারণত চীনের রাষ্ট্রপতি এবং বিদেশমন্ত্রীর মত দুই শক্তিশালী রাজনীতিবিদ একসঙ্গে দেশের বাইরে থাকেন না।
চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিঙ রাষ্ট্রপতির দিল্লি না আসার খবর জানালেও কারণ জানাননি। যদিও শি জিনপিঙ কেবলমাত্র জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না এমনটা নয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় হতে চলা অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস এর সম্মেলন , এবং ইস্ট এশিয়া সামিট-এও অনুপস্থিত থাকার সম্ভাবনা শি'র। এই বৈঠকগুলিতেও চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন লি কিয়াং।
রাষ্ট্রপতি উপস্থিত না থাকলেও, চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা গ্লোবাল টাইমস সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (পূর্বতন টুইটারে)-এ এই সম্মেলনের সাফল্য সূচক বার্তা রেখেছে।
গত সপ্তাহে মস্কোর তরফে নয়া দিল্লিকে জানানো হয়, জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি পুতিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তাঁর জায়গায় রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী সার্জিও ল্যাভরভ।
পুতিন এবং জিনপিঙ উপস্থিত না থাকলেও, সম্মেলনে উপস্থিত থাকার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, ফরাসি রাষ্ট্রপতি এম্যানুয়েল ম্যাঁক্রো, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কুলজ, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিস, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিষিদা এবং ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডি সিলভা।
জি-২০ সম্মেলনে সাক্ষাৎ না হলেও, জুলাই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া ‘ব্রিকস’ এর বৈঠকে শি এবং মোদীর মধ্যে কথা হয়। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা মোকাবিলার বিষয় সহমত হন।
Comments :0