সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ’র মতো কঠোর আইন প্রয়োগের সমালোচনা করলেন শারদ পাওয়ার। এনসিপি’র প্রতিষ্ঠাতা শনিবার মুম্বাইয়ে বলেছেন, দিল্লির উপরাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার।
দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লি পুলিশকে। চোদ্দ বছর আগে রায়ের একটি ভাষণকে হাতিয়ার করে সেই আইনে মামলা হচ্ছে যা আসলে সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে তৈরি।
এদিন মুম্বাইয়ে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। রায়ের সঙ্গে কাশ্মীরের অধ্যাপক শেখ সৌকত হোসেনের বিরুদ্ধেও মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল, যে পদে নিয়োগ করে কেন্দ্র।
‘বুকার’ পুরস্কার বিজয়ী রায় এবং হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২০১০-এ। রায়ের বিভিন্ন বক্তব্যে সহমত নন, এমন অংশও তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ দমনের আইনে অভিযোগ দায়ের করার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সেক্ষেত্রে বিনা বাধায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারির পর এই বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইনের ধারায় জামিন পাওয়ায় কষ্টকর হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগের দশ বছর বিরোধী স্বর দমনে ইউএপিএ বা জাতীয় নিরাপত্তা আইনের মতো কঠিন আইনের প্রয়োগ করা হয়েছে। রায় এবং হোসেনের ক্ষেত্রেও ‘আজাদি’ শব্দকে হাতিয়ার করা হয়েছে।
মুম্বাইয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে থ্যাকারে এবং পাওয়ার জানিয়েছেন যে ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার অংশের হাত ধরার কথা ভাবছেন না দু’জনের কেউ-ই। দুই দলকেই ভেঙে মহারাষ্ট্রের সরকারে আসীন হয়েছে বিজেপি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং ভাঙিয়ে আনা তাদের দুই জোটসঙ্গী, একনাথ শিন্ডে ও অজিত পাওয়ারের, বিপক্ষে গিয়েছে জনমত। রাজ্যের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে শারদ পাওয়ার-উদ্ধব থ্যাকারে-কংগ্রেস এবং সহযোগী দলগুলির জোট মহা বিকাশ আঘাড়ি পেয়েছে ৩০ আসন।
PAWAR ROY UAPA
সাহিত্যিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের আইনে ক্ষোভ পাওয়ারের
×
Comments :0