Chandrayan 3 follow up

চন্দ্রযানের-৩’ অভিযানের নেপথ্যে দুই বাঙালি বিজ্ঞানী

জাতীয় জেলা

চন্দ্রযানের-৩’র সফল উৎক্ষেপনের সঙ্গে জড়িত পশ্চিম বঙ্গের দুই কৃতি ছাত্র। নীলাদ্রি মৈত্র এবং মানস সরকার। নীলাদ্রি মৈত্র উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মছলন্দপুরের রাজবল্লভপুর হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সেই স্কুল থেকে। তারপর বিজ্ঞান নিয়ে দীর্ঘ পড়াশুনা করে বর্তমানে ইসরোর একজন বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান-৩ সফল উৎক্ষেপণ পর্যন্ত গোটা কর্মযজ্ঞে সামিল ছিলেন প্রথম থেকেই। চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপনের পর নীলাদ্রিদের নিয়ে গর্বিত মছলন্দপুর সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ।


উত্তর চব্বিশ পরগনর বসরহাটের নৈহাটীর বাসিন্দা মানস সরকার ইসরোতে টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্কে কর্মরত। চন্দ্রযান ৩’কে মহাকাশে শপলতার সঙ্গে নিক্ষেপ করার মতো কঠিন কাজের দায়িত্ব ছিল তার ঘারে। তা তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করতে পেরেছেন। লেখাপড়া নৈহাটির ইটিন্ডা ইউনিয়ন হাই স্কুলে। পরবর্তীতে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান। সেখানেও কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তির্ণ হন।
শুক্রবার চেন্নাইয়ের শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপন হয় চন্দ্রযান ৩। পৃথিবী থেকে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে মাস খানেকের কাছাকাছি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-২’র পর আবারও ভারতীয় বিজ্ঞানীরা চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করানোর চেষ্টা করছে চন্দ্রযান-৩’ মাধ্যমে। ২৩ আগষ্ট রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদেরপৃষ্ঠ ছুতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে। এই কর্মযোজ্ঞে সফলতা পেলে চিন, রাশিয়া, আমেরিকার পর ভারতই হবে চতুর্থ দেশ যে রোভারকে চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠে সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং করাতে পারবে ল্যান্ডারকে।

Comments :0

Login to leave a comment