GANDHI NAGAR CANDIDATES WITHDRAWAL

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেন্দ্রে সরে দাঁড়ালেন ১৬ প্রার্থী! হুমকির অভিযোগ, আর্তি ‘দেশকে বাঁচান’

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

প্রার্থী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতবার এই কেন্দ্রের তাঁর জয়েব ব্যবধান ছিল সাড়ে ৫ লক্ষ ভোটের। এই গান্ধীনগরেই হুমকির দিয়ে প্রার্থীপদ তুলে নিতে বাধ্য করার অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে প্রকাশ্যে।
গুজরাটের গান্ধীনগরে ১৯৮৯ থেকে টানা জিতে আসছে বিজেপি।  সংশ্এলিষ্ইট অংশের হিসাব, এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েও ফের সরে দাঁড়িয়েছেন ১৬ জন। তার মধ্যে অন্তত ৩ জন প্রকাশ্যে জানিয়েছেন যে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। গান্ধীনগরে ভোট তৃতীয় দফায়, ৭ মে।
গান্ধীনগর কেন্দ্রের এমনই এক প্রার্থী জিতেন্দ্র সিং চৌহান ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। ভিডিও তাঁকে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘অমিত শাহের লোকজন আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমাকে বাধ্য করা হয়েছে সরে দাঁড়াতে। দেশবাসীর কাছে আবেদন দেশকে বাঁচান। দেশ বড় বিপদের মধ্যে রয়েছে।’’


গুজরাট তো বটেই, হিন্দি বলয়ের একাধিক রাজ্যে রাজপুতদের অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়েছে। উত্তর প্রদেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দিয়ে বক্তৃতা করিয়েও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না বিজেপি। রাজকোটে দলের প্রার্থী পুরুষোত্তম রুপালা রাজপুতদের ইংরেজের সহযোগী বলেছিলেন। তার পর থেকে ক্ষোভ। একাংশ যদিও মনে করছে ক্ষোভের স্থায়িত্ব কেবল একটি মন্তব্যের কারণে নয়। আর্থ সামাজিক সঙ্কটও রয়েছে তার পিছনে। যেমন হয়েছিল রাজ্যে পতিদার বিক্ষোভের সময়। 
কিন্তু তা বলে প্রার্থীপদ তুলে নিতে বাধ, করা হবে? তা-ও আবার গুজরাটে। যে রাজ্যে, বিজেপি বলছে, ২৬টি লোকসভা আসনের সবক’টিতেই জয় লক্ষ্য, গতবারের মতো। কিন্তু বিজেপি আছে কোন জায়গায় সেই প্রশ্ন বড় হচ্ছে। এ রাজ্যেরই সুরাটে কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রই খারিজ করেছেন রিটার্নিং অফিসার, যিনি রাজ্যেরই আধিকারিক। বিজেপি’র আরেক শক্ত কেন্দ্র, মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে কংগ্রেসের হয়ে নাম দাখিল করার পরই নিম্ন আদালতে গঠন করা হয়েছে সেই প্রার্থীর সতের বছরের পুরনো একটি মামলায় অপরাধের চার্জ। নাম তুলেও নেন সেই প্রার্থী। আর গান্ধীনগরে, নির্দল বা ছোট প্রভাব রয়েছে এমন দলের প্রার্থীদের নাম তোলানোর অভিযোগ উঠেছে। যাতে ৫-৭ শতাংশ ভোটও এদের ঝুলিতে না যায়। 
তেমনই অভিযোগ তুলেছেন প্রজাতন্ত্র আধার পার্টির রাজেশ মৌর্য। গান্ধীনগরেই দলের প্রার্থী সুমিত্রা মৌর্যের ভিডিও পোস্ট করে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সুমিত্রাকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে ২০ এপ্রিল আমেদাবাদের চাঁদখেড়া এলাকায় তাঁর বাড়িতে জনা বারো লোক চলে আসে। তারপর থেকে সুমিত্রা এবং তাঁর স্বামী একের পর এক ফোন পাচ্ছিলেন। তারা কারা বলা হয়নি একবারও। কেবল বলছিল প্রার্থীপদ তুলে নিতে হবে। 


সুমিত্রা বলেছেন, ‘‘দলের সভাপতি সভাপতি রাজেশ মৌর্যের পরামর্শে আমরা কয়েকদিনের জন্য অন্য জায়গায় চলে যাই। সোমনাথে একটি হোটেলে উঠি। সেখানে তিনজন আসে। তাদের একজন সরাসরি জিজ্ঞেস করে কেন ফোন তুলছি না। এরপর আমি রাজেশজীকে ভিডিও কল করি। তখন এরা সরে পড়ে।’’
ভিডিও-তে সুমিত্রার অভিযোগ, এরা সব গুজরাটের ক্রাইম ব্রাঞ্চের লোক। 
সুমিত্রা মৌর্য এরপরও মনোনয়ন তোলেননি, কিন্তু জিতেন্দ্র সিং চৌহানকে তুলতে হয়েছে। নির্দল প্রার্থীদের একজন যথীন রাঠোরের অভিযোগ, জোর করে মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে।

Comments :0

Login to leave a comment