COP 27

অধিকাংশ প্রশ্নেই সহমত নেই জলবায়ু বৈঠকে

আন্তর্জাতিক

 জলবায়ু নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের আলোচনা প্রায় অর্ধেক সময় কাটিয়ে এলেও এতে মূল সমস্যার এখনও কোনও ফয়সালা হয়নি। আলোচনা চলছে। গত রবিবার ৬ নভেম্বর আলোচনা শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এখনও খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী সপ্তাহে  মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তাতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


বিশ্বের জলবায়ু নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দুই সপ্তাহের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে বায়ুদূষণের সমস্যা। এতে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর দাবি তুলেছে বিশ্বের বহু দেশ। উন্নত দেশগুলির গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কমিয়ে গরিব দেশগুলিকে বায়ূদূষণের থেকে হাত থেকে রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বিশ্বে বায়ু দূষণ রুখতে গ্রিন হাউসের নির্গত গ্যাসের পরিমাণ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক কমিয়ে ফেলা দরকার, প্যারিসে জলবায়ু নিয়ে বৈঠকে তা কমিয়ে ফেলার  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে বিশ্বে দূষণের ফলে উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় তা কমানোর উদ্যাগ নেওয়া হয়। শতাব্দী শেষে বিশ্বে উষ্ণতার পরিমাণ ১.৫ সেলসিয়াস হারে কমানোর কথা ভাবা হয়েছে। গত বৈঠকে বিভিন্ন দেশকে এতে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এদিনের আলোচনায় বলা হয়েছে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বেশি সমস্যায় পড়েছে গরিব দেশগুলি।


এদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এদিন জানান, বিশ্বে উষ্ণতা হার কমানোর  কথা বলে হলেও তা সেভাবে কার্যকরী না হওয়ায় এর বিপদ বাড়ছে। জলবায়ু সম্পর্কে শনিবারই তার খসড়া প্রস্তাব বিভিন্ন প্রতিনিধিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাতে ২০০ বিষয় ব্র্যাকেটে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে এই বিষয়ে আলোচনায় সহমত হওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের  মতো এতে স্পষ্ট বেশির ভাগ ইস্যুতে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। জানা গেছে দূষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে বিধি নিষেধ এক বছরের জন্য চালু রাখার পক্ষে অনেক দেশ। আবার কিছু দেশ তা দীর্ঘদিন সেই বিধিনিষেধ চালু রাখার পক্ষে। ফলে সেসব ইস্যুতে এক মত হওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত গত বছর জলবায়ু আলোচনা কয়লার ব্যবহার পর্যায় ক্রমে বন্ধ করার প্রস্তাব আসে। কিন্তু বহু দেশ এতে তীব্র আপত্তি তোলায় তা গ্রহণ করা যায়নি। এদিকে এবারেও আলোচনায় দেশগুলির মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে অবিশ্বাসের বাতাবরণ থাকায় তাতে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ দেশের আঙুল উঠেছে তুলেছে ধনী দেশগুলির  প্রতি। গত বছর পরিবেশ দূষণ রোধে ধনী দেশগুলি গরিব দেশগুলিকে যে আর্থিক সাহায্যের কথা ছিল তা কার্যকর হয়নি। এতে দেশগুলির মধ্যে বিরোধ আরও তীব্র হয়েছে।  
 

Comments :0

Login to leave a comment