Local Train

ওভার হেডের তার ছিঁড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখার

রাজ্য

Local Train ছবি- তার ছিঁড়ে বন্ধ রেল পরিষেবা। ছবি অভিক ঘোষ।



ব্যান্ডেল বাঁশবেড়িয়া স্টেশনের মাঝে কাটোয়া রেল গেটের কাছে ওভার হেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ার জন্য কাটোয়া ব্যান্ডেল শাখার ট্রেন চলাচল বন্ধ। আপ ডাউন ট্রেন দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্টেশনে। জিরাট খামারগাছীতে দাঁড়িয়ে আছে ডাউন ট্রেন।মেরামতি শুরু করেছে রেল কর্মিরা। সোমবার রাত নটা নাগাদ
তেত্রিশ হাজার ভোল্টের লাইনের তার রেলের ওভার হেডের উপর ছিঁড়ে পরে। তার পরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ব্যান্ডেল ও শেওড়াফুলি থেকে রেলের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও রেলের কর্মিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করে।তেত্রিশ হাজার ভোল্টের তার ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মিরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছেন। প্রায় দু ঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি রাত এগারোটা পর্যন্ত।
ট্রেন যাত্রী উজ্জ্বল চক্রবর্তী জানান, কাটোয়া হাওড়া লোকাল ধরে বৈদ্যবাটি যাচ্ছিলাম হঠাৎই জিরাট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে পরে রেল পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচার করে জানানো হয় বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে ওভারের তার ছিড়ে যাওয়ার ফলে ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে। গরমের মধ্যে চরম সমস্যাতে পড়তে হয়েছে বিকল্প কোন রাস্তা না হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে। অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের মধ্যে অপেক্ষা করছে।
রেলের ওভারহেড তারে হাই টেনশন তার ছিঁড়ে পড়েছে , ফলে যে জায়গায় এই তার ছিঁড়ে পড়ে আছে সেই জায়গাটা পুরো ইলেকট্রিফায়েড হয়ে ছিল।
রাজ্য বিদ্যৎ নিগম এর লোক এসে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।তারপর রেল কাজ শুরু করেছে বলে রেল সূত্রে খবর।

এদিন শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে রেল দপ্তরের ছিড়ে যাওয়া তার মেরামত করতে সময় লাগলো সাড়ে ৫ ঘন্টা।   ১৩১৪৫ আপ কলকাতা রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ব্যাণ্ডেল থেকে রাত ৮. ৫০ এ ছাড়াও কথা থাকলে কাটোয়াতে ৩৩ হাজার ভোল্টের ওভার হেড তার ছিড়ে বিপত্তি। রাত ১ টা ৪৫ মিনিটে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ছাড়লেও উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস  হাটে বাজারে এক্সপ্রেস সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেন বিভিন্ন ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে প্রচণ্ড গরমে যাত্রী সাধারণ ছটফট করছেন। ট্রেনের মধ্যে মশার হয়রানির শিকার সাধারণ যাত্রীরা। কেন ট্রেন বিলম্ব যাত্রীরা জানতে পারছেন না। গরমে অসহ্য অবস্থা। শৌচাগারের বেহাল অবস্থা। প্রায় ৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে দূর পাল্লার বহু রাতের ট্রেন। অধিক রাতে রিজার্ভেশনের সমস্ত দরজা খোলা, যাত্রীদের নেই কোনো সুরক্ষা। রেলের টি টি থেকে রে পুলিের দেখা নেই। বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

 

Comments :0

Login to leave a comment