দেশের সমস্ত খবরের চ্যানেলের মালিকানা তুলে দেওয়া হয়েছে পুঁজিপতিদের হাতে। একই কায়দায় গোটা দেশের সম্পদও এদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে মোদী সরকার। এই সরকার দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে রীতিমতো প্রকল্প তৈরি করে ফেলেছিল। সেই প্রকল্পের নাম হল ‘চাঁদা দাও, সরকারি টেন্ডার নাও’ কিংবা ‘নিজের ব্যবসা বাড়াও’। মোদী সরকারের এই একটাই কাজ। পুঁজিপতিদের থেকে টাকা নাও, আর সেই টাকা দিয়ে সমাজে বিভেদ ও বিদ্বেষ ছড়াও। রবিবার উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধীর সমর্থনে এমনই কড়া আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
সভা থেকে কংগ্রেসের ইস্তেহারের প্রচারও করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে নতুন সরকারি চাকরির ৫০ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। আর ৩০ লক্ষ সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে যুবদের। কৃষকদের সঙ্কট তুলে ধরে কংগ্রেস বলছে, গত ৫ বছরে কৃষির সঙ্গে যুক্ত ৫৩ হাজার মানুষ ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছে। সুযোগ পেলে কংগ্রেস এই পরিস্থিতির বদল ঘটাবে।
উত্তর প্রদেশে রায়বেরিলি আসনে রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচারের মুখ্য দায়িত্ব নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। রাহুল গতবার আমেঠি আসনে লড়েছিলেন। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান তিনি। গান্ধী পরিবারের খাসতালুক বলা হয় আমেঠি এবং রায় বরেলীকে। এক প্রকার প্রথা ভেঙেই এইবার আমেঠিতে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সংগঠক কিশোরী লাল শর্মাকে। আমেঠিতেও প্রিয়াঙ্কা নিজে ছোট বড় জনসভায় প্রচার চালাচ্ছেন। কিশোরীলাল শর্মা কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা রাজীব গান্ধীর সময় থেকে এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থেকেছেন।
আর রায়বেরিলীতে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ছেন রাহুল গান্ধী। আমেঠি এবং রায় বরেলী, দুই আসনেই নিবিড় প্রচার চালাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাঢরার মত হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জনসভার দিনেই রায়বেরিলিতে সভা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সভা থেকে লাগামছাড়া হারে বিদ্বেষ ছড়িয়ে অমিত শাহ বলেছেন, "এই নির্বাচনে রাম ক্তদের উপরে গুলি চালানো শক্তি এবং রাম মন্দির তৈরি করা শক্তির মধ্যে মুখোমুখি লড়াই হচ্ছে।"
অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বিজেপি নেতাদের প্রচারে আর কাজ, রোজগার নিয়ে সাফল্যের দাবিও নেই। পশ্চিমবঙ্গে এদিন মোদী একাধিক জনসভা করলেন। কিন্তু কংগ্রেসের পালটা তাঁর নিজের মেয়াদে কত সরকারি চাকরি হয়েছে, তার তথ্য দিলেন না। ২০১৯’র লোকসভা ভোটে কেবনল রেলেই লক্ষাধিক চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন মোদী। রেলও নিয়োগের বিজ্ঞাপন ছাড়ে। কিন্তু সেই পদে নিয়োগ না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মপ্রার্থীরা। চুপ রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।
Comments :0