Bojboj

বজবজের বিস্ফোরণ স্থলে গিয়ে মানুষের সাথে দেখা করলেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ

রাজ্য জেলা

পুলিশ এবং তৃণমূলের বাধা পেরিয়ে বজবজে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে সোমবার সকালে দেখা করলেন সিপিআই(এম) নেতা রতন বাগচী এবং প্রভাত চৌধুরী। রবিবার রাতে বজবজের নন্দরামপুর দাসপাড়ায় এই বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। পুলিশ সূত্রের খবর, রাত পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাদের মধ্যে একজন নাবালিকা। ওই বাড়িটির গৃহবধূ এবং তাঁর শিশুও মারা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৃতদের নাম পম্পা হাটি ও জয়শ্রী হাটি। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, এখানে বাজি তৈরি হতো বলে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। প্রশাসনের এই দাবিকে খারিজ করে রতন বাগচী জানিয়েছেন, ‘‘প্রশাসনের চোখের সামনে সব কিছু হচ্ছে, জানে না এটা ভুল কথা। কয়েক দিন আগে এই পাড়াতেই একই ঘটনা ঘটেছে তখন প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি।’’

 
চিংড়িপোতা অঞ্চলে, যেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বহু মানুষ বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সেখানে যেই আগাম সতর্কতার প্রয়োজন সেটা কখনও প্রশাসনের পষ থেকে নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে যেই বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে বাজি মজুত করা ছিল। সিপিআই(এম) নেতৃত্বের দাবি এই বাজি পেশার সাথএ ওই এলাকার বহু মানুষের রুটি রুজি জড়িয়ে। ফলে তাদের বাড়িতে বাজি মজুত থাকাটা স্বাভাবিক। 


এদিন রতন বাগচী, প্রভাত চৌধুরী, ঋষিকেশ পোদ্দার, আখতার হোসেন সহ অন্যান্যরা গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় স্থানীয়দের সাথে দেখা করার সময়। বলা হয় যে তারা দেখা করতে পারবেন না। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আতঙ্কে স্থানীয় মানুষজন ঘরের মধ্যে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তল্লাশির নাম করে বাজি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যার ফলে রুটি রুজিতে টান পড়ছে তাদের। রতন বাগচী বলেন, ‘‘একজন মানুষ তার বাড়িতে ব্যবসার জন্য বাজি রাখতেই পারে। কিন্তু তৃণমুল নেতারা যখন বেআইনি ভাবে বাজি মজুত করে রাখে তখন প্রশাসন কেন কোন কথা বলে না। গরিব খেটে খাওয়া মানুষের কোন সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য আমরা এসেছি।’’ 
এদিন পুলিশের পাশাপাশি তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের এলাকয় ঢুকতে বাধা দিলেও নেতৃবৃন্দ  এলাকায় গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলেন।

Comments :0

Login to leave a comment