Purba Bardhaman Brick Kilns

দুদিনের বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে কালনার ইটশিল্প

জেলা

ছবি- নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া কাঁচা ইট। ছবি- আলেক শেখ।

নিম্নচাপের বৃষ্টিতে কালনার ইটশিল্প বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রতিটি ইটভাটায় আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ তৈরি করা কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এই ক্ষতি সামলে কি করে ভাটা চালাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভাটা মালিকরা। কালনা মহকুমায় মোট ৭১ টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে কালনা শহরের দুই পাশে ভাগীরথী নদীর পাড়ে রয়েছে ২১ টি ইটভাটা। এই ইটভাটাগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই করুন বলে জানান ভাঁটা মালিকরা।  তাদের বক্তব্য, ইট শিল্পের বিরুদ্ধে সরকারি ষড়যন্ত্র,  বিপুল হারে জি এস টি বাড়ানো, ব্যাপক হারে কয়লার দাম বৃদ্ধি,  শ্রমিক চুক্তির উপর অতিরিক্ত বারো শতাংশ জিএসটি বসানো এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের নামে ইট শিল্পের উপর আইনি জুলুম এই শিল্পকে একেবারেই ধ্বংসের কিনারে পৌঁছে দিয়েছে।  এইসব করার কারণে বেশ কয়েকটি ইটভাটা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ইটের দাম বাড়েনি বরং গত বছরের থেকে দাম অনেকটাই কমে গেছে। গতবছর যেখানে ১ হাজার ইট বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এখন সেই হাজার ইটের দাম কমে হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এর কারণ হিসেবে কালনার একজন ইটভাটা মালিক শেখ মন্তাজ ব্যাখ্যা দেন, মধ্যবিত্ত মানুষের আয় কমে গেছে। তাছাড়া বিগত দুই বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ ও গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ। যার ফলে ইটের বিক্রি না থাকার কারণে দাম কমে যাচ্ছে ইটের। তার উপরে সম্প্রতি কালের নিম্নচাপের বৃষ্টি বহু কাঁচা ইট নষ্ট করে দিয়েছে। এতে ভাটাগুলি চরম লোকসানের মধ্যে পড়ে গেল। পাশাপাশি নতুন করে কাজ শুরু করতে বেশ কয়েকটা দিনও নষ্ট হবে। এই  শিল্পের সাথে জড়িত কয়েক হাজার ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের উপরও তার বিরাট প্রভাব পড়বে। কারণ শ্রমিকরা সকলেই ঠিকা কর্মী হিসাবে কাজ করেন। ইট তৈরি হলে তবে তারা মজুরি পান। কাজ না হলে একটা পয়সাও  শ্রমিকরা পাবেন না। এই ভাটাগুলোতে ঝাড়খন্ড, বিহার, উড়িশার মত রাজ্য থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। ঠিকাদারের মাধ্যমে এরা সামান্যই মজুরি পান।

Comments :0

Login to leave a comment