৭৬ তম সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করা হচ্ছে সারা দেশে। ১৯৫০ এর এই দিনেই গৃহীত হয়েছিল স্বাধীন দেশের সংবিধান। যে সংবিধানে জনগণকেই সার্বভৌম ঘোষণা করা হয়েছিল।
দিল্লিতে অভিবাদন গ্রহণ করছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দিল্লির কর্তব্য পথে রয়েছেন আমন্ত্রিত ১০ হাজার অতিথি। এবছরের প্রধান অতিথি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ান্তো।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানী শহরেও পালিত হচ্ছে সাধারণতন্ত্র দিবসের অতি পরিচিত কুচকাওয়াজ। চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
দিল্লিতে রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানিয়ে কুচকাওয়াজ করেছে তিন সেনা। দেশের ১৬ টি রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি হাজির করার জন্য এসেছে ট্যাবলো। রীতি মেনে চলছে সেই অনুষ্ঠান।
দেশের সংবিধান স্বাধীনতা আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা বজায় রাখবে কিনা সেই আশঙ্কাও রয়েছে বিভিন্ন মহলেই। রাষ্ট্রপতির প্রথমাফিক ভাষণেও ভাষণে ও সাধারণতন্ত্র দিবসের ঠিক আগের দিন এক দেশ এক ভোটের পক্ষে সওয়ালে বহুত্বকে ধ্বংস করার সুর স্পষ্ট বলে মনে করছে বিভিন্ন অংশ।
সংবিধানে বর্ণিত গণতন্ত্র বিশেষ করে সংসদের সর্বোচ্চ অধিকারের ধারণাটি কতটা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন গভীর। এই সংশয় আরো জোরালো হয়েছে সংসদীয় কমিটি থেকে বিরোধী সদস্যদের বহিষ্কারে। ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত আলোচনার জন্য গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি থেকে বিরোধী একাধিক সাংসদকে বহিষ্কার করে দিয়েছেন কমিটির সভাপতি।
৭৬ তম সাধারণতন্ত্র দিবসে সরকারি রীতিমাফিক অনুষ্ঠানের বাইরে বিভিন্ন অংশ শামিল সংবিধানের শপথ নিতে। গত কয়েক বছরের মতো ফের এবারও সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে সংবিধান রক্ষার শপথ।
Republic Day
সংবিধান বদলের শঙ্কা মাথায় নিয়ে চলছে সাধারণতন্ত্র দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান
×
Comments :0