Lalduhoma

ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী থেকে মিজোরামের নেতা

জাতীয়

প্রতীম দে

 

জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। আগামী পাঁচ বছর উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য চালাবেন তারা।

জোরাম পিপলস মুভমেন্টের নেতা লালদুহোমা। প্রাক্তন আইপিএস তথা প্রাক্তন সাংসদ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপত্তা অধিকারিক হন ১৯৮২ সালে। ১৯৮৪ সালে মিজোরাম থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হওয়ার পর চাকরি ছাড়েন তিনি। তারপর কংগ্রেস ছাড়লে তার সাংসদ পদ বাতিল হয়ে যায়। সেই মিজোরামে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের ব্যার্থতার কারণে তিনি দল ছেড়ে ছিলেন বলে জানা যায়। 

তারপর তৈরি করেন লালদুহোমা, স্টুডেন্টস জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে ১৯৮৬ সালে অ্যাকশন ফর পিস কমিটি গঠন করেন। সেই সময় লালদুহোমা জানতে পারেন যে রাজ্য সরকারই শান্তি আলোচনা বিলম্বিত করেছে। কমিটি জুনের প্রথম দিকে গণ বিক্ষোভ সংগঠিত করে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানায় এবং তারপর ২৩ জুন গণ অনশন করে। বিক্ষোভ একটি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেয় এবং ৩০ জুন মিজোরাম শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। বিক্ষোভ আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্ধ করা হয় এবং মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠে। লালদুহোমা এমএনএপ এর উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন, কিন্তু শীঘ্রই মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (ন্যাশনালিস্ট) প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের থেকে বিভক্ত হয়ে ১৯৯৭ সালে তৈরি হয় জোরাম ন্যাশনালিস্ট পার্টি। তিনি ২০০৩ সালের নির্বাচনে রাতু থেকে মিজোরাম বিধানসভায় নির্বাচিত হন।   

অনেকে জেডপিএমকে উত্তর পূর্বের আপ বলে থাকে। মিজরামের একটি রাজনৈতিক দল। ২০১৭ সালে মিজরাম পিপলস কনফারেন্স, জোরাম ন্যাশনালিস্ট পার্টি, জোরাম এক্সোডাস মুভমেন্ট, জোরাম ডিসেন্ট্রালাইজেশন ফ্রন্ট, জোরাম রিফরমেশান ফ্রন্ট এবং মিজোরাম পিপলস পার্টি নিয়ে তৈরি হয় এই নতুন রাজনৈতিক দল। ২০১৮ সালে প্রথম নির্বাচনে আত্মপ্রকাশ। সেবার ৪০টি মধ্যে ৩৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও আটটি আসনে জয়ী হয় তারা। ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসাবে স্বীকৃতি দেয় জোরাম পিপলস মুভমেন্টকে।

সরাসরি কোন রাজনৈতিক মতাদর্শকে সমানে রেখে রাজনীতির ময়দানে নামেনি এই দল। পাঁচ বছর ধরে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে থাকেন তারা। মিজোরামের সাধারণ মানুষের সমস্যা, তাদের জন্য বিকল্প নীতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়কে নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করেছেন তারা। আর এই সাধারণ মানুষের জন্য কাজএই অস্ত্রকে হাতিয়ার করে পাঁচ বছরের মধ্যে ক্ষমতা দখলে সক্ষম বলে মনে করছে অনেকে। ২০১২ সালে যেটা দিল্লিতে আপ এবং কেজরিওয়াল করেছিল।

 ২০২৩ সালের ফলাফল অনুযায়ী ৪০ আসন বিশিষ্ট মিজোরাম বিধানসভায় মিজো পিপলস মুভমেন্ট পেয়েছে ২৭টি আসন, এমএনএফ ১০, বিজেপি ২ এবং কংগ্রেস ১।

Comments :0

Login to leave a comment