বাড়ির মধ্যেই রাত ২টোর সময় সময় আক্রান্ত হন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের সজনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ব শিক্ষিকা মৌমিতা দাস। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ির জানলা ভেঙে তাঁর ও তাঁর স্বামীর উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতিরা। দুষ্কৃতিদের হাতে খুন হন শিক্ষিকার স্বামী মেহেতাব আলম। গুরুতর জখম অবস্থায় জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন মৌমিতা দাস। রবিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন নিখিলবঙ্গ পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির এক প্রতিনিধিদল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতি হামলার শিকার হন মৌমিতা দাস এবং তাঁর পরিবার। ধূপগুড়ির আঙড়াভাষা সজনাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে ৪ জন পুরুষ এবং ২ মহিলা মৌমিতা দাসের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করা হয় মেহেতাব আলমকে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে মৌমিতা দাসকেও কোপানো হয়। তাঁর শরীরে ২৫টি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ওই দম্পতির ২ সন্তান জানলা টপকে বাইরে পালিয়ে যাওয়ার তারা প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
এই হামলার খবর পেয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ধূপগুড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেহতাব আলমের ভাগনা আফতাব হোসেন সহ ছয়জনকে আটক করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা বলেও জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
এদিন নিখিলবঙ্গ পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক কমল বাড়ৈ, পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির জেলা কমিটির সদস্য গীতা রায়, সুস্মিতা গুহ, অমিত দাস প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন জেলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব পীযূষ মিশ্র।
এদিন প্রতিনিধিদলের তরফে মৌমিতা দাসের সঙ্গে কথা বলে তাঁর পরিবারের জন্য কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, মৌমিতা দাসের পরিবারের পাশে সংগঠন সম্পুর্ণ ভাবে রয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান তাঁরা।
Comments :0