Digha Jagannath temple

জগন্নাথ মন্দিরে বরাদ্দ বাড়ল ৪৩ কোটি,
বিজেপি’কে নকলে দৌড় মমতার

রাজ্য

দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার জন্য আরও ৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, দীঘায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরি করা হবে। তার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। 
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে এই কথা ঘোষণা করলেও কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি।


এদিন বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুক করীরের প্রশ্নের উত্তরে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান যে ১৪৩ কোটি বরাদ্দ করেছে সরকার। ফিরহাদ জানিয়েছেন যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মন্দির সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওবার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। 
লোকসভা ভোটের আগে হিন্দুত্বের জিগির তুলতে অযোধ্যার রাম মন্দির আগামী বছর জানুয়ারি মাসে উদ্বোধনের ঘোষণা শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহের মুখে। বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা সেই প্রচার করতে শুরুও করেছে। বিজেপি গোটা যে সাম্প্রদায়িক হাওয়া তুলতে চাইছে এ রাজ্যে সে পথেই চলছে তৃণমূল, বামপন্থীরা বারবারই এই অভিযোগে সরব। তাঁরা বলেছেন, লোকসভা ভোটের আগেই দীঘায় মন্দির উদ্বোধন করার পরিকল্পনা করছে এই কারণেই। ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দু’দলই সক্রিয়।


দীঘা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ২০ একর জমির ওপর এই মন্দির তৈরি হচ্ছে। তৃণমূল সরকারের এই ভূমিকা যদিও নতুন নয়। শারদোৎসবের সময়ও নিয়মিত দেখা যায় যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে দর্শনার্থীদের শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি তহবিলে কর বাবদ আয়ের অর্থ দেওয়া হচ্ছে পুজো কমিটিকে। তবে ধর্মীয় উপাসনা স্থল রক্ষণাবেক্ষণ বা উন্নয়নের জন্য, সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই সরকারের খরচ করার কথা। বিনিময়ে দর্শনার্থীদের সমাগম থেকে আয়ও হয় কোষাগারের। 


বিধানসভায় জানানো হয়েছে হুগলীর ফুরফুরা শরিফ এলাকার উন্নয়নের জন্য ৫৮ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একথা জানিয়েছেন। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে ফিরহাদ হাকিম উত্তর দেন। 
নওসাদ প্রশ্ন করেন যে, ‘‘ফুরফুরা শরিফের অফিসটা কোথায়? সেখানকার মানুষ তাদের নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা কোথায় জানাবেন?’’ 
মন্ত্রী বলেন যে, এসডিও অফিসের কয়েকটা ঘরকে ফুরফুরা শরিফের অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হয়।


সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নওসাদ বলেন, ‘‘২০১৬ সাল থেকে ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদের কাজ চলছে। ছয় বছর টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিন্তু ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ কোনও স্থায়ী অফিস পেলো না। কতজন কর্মী সেখানে কাজ করে তার কোন তথ্য নেই।’’

Comments :0

Login to leave a comment