প্রসঙ্গত, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে ঠেকাতে কোয়াড নামের একটি সামরিক জোট তৈরি করেছে আমেরিকা। এই জোটে আমেরিকা ছাড়াও রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান। সেই বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদী জানান, ২০২৪ সালের কোয়াড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ভারতে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বৈঠক শেষে বলেন, আন্তর্জাতিক ভারসাম্যের গতিপথ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কোয়াডের। বৈঠক শেষে মোদী বলেছেন, শান্তি স্থাপন এবং জনকল্যাণ মুখী কাজকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাবে কোয়াড। যদিও সামরিক জোটের মাধ্যমে কী ভাবে শান্তি স্থাপন সম্ভব, তা স্পষ্ট হয়নি মোদীর ভাষণে।
শুক্রবার থেকে জাপানের হিরোশিমা শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-৭ সম্মেলন। মূলত প্রথম বিশ্বের প্রাক্তন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির জোট হিসেবেই দেখা হয় জি-৭কে। জি-৭’র অংশ না হলেও সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ আসে ভারতের কাছে। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে হিরোশিমা পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী।
যদিও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কোয়াড বৈঠকে যাতে ভারত অংশ নিতে পারে, তাই জি-৭ বৈঠকে ভারতকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের মুখে জাপানের দুই শহর হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলে আমেরিকা। তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণ এবং পরবর্তী পরমাণবিক অভিঘাতে প্রাণ হারান ২ লক্ষের বেশি মানুষ। তেজস্ক্রিয়তার ফলে কয়েক প্রজন্ম শিকার হয় বিকলাঙ্গতার।
রবিবার সেই হিরোশিমার মাটিতে দাঁড়িয়ে সামরিক জোটের সম্মেলন ভারতে করার ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে জোট নিরপেক্ষতার গৌরবজনক অধ্যায়কে আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মার্কিন জোটের লেজুর হওয়ার দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন তিনি।
Comments :0