ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের ইনসাফ যাত্রাকে ঘিরে সাজ সাজ রব কোচবিহার জেলা জুড়ে। জেলার সর্বত্র মাইক প্রচার, পথসভা, হাটসভা, দেওয়াল লিখন, গণ সংগ্রহের মাধ্যমে এই ইনসাফ যাত্রা এবং ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারকে কার্যত তুঙ্গে নিয়ে গেছেন কোচবিহার জেলার যুবক যুবতীরা। নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ কোচবিহার থেকেই শুরু হচ্ছে এই ইনসাফ যাত্রা। আর একারণেই কোচবিহার জেলার যুবদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা অন্য মাত্রা পেয়েছে।
বর্তমান সময়কালে এরাজ্যের বেকার ছেলে মেয়েরা কাজ পাচ্ছেন না, শিক্ষা অর্জনের শেষে কাজ না পাওয়ার এক সীমাহীন যন্ত্রণা আঁকড়ে ধরেছে তাদের। একইভাবে এই কাজের লড়াইয়ের আন্দোলনে সামিল হয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদের মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে আনিস খান, মইদুল মিদ্যার মত একাধিক যুব যোদ্ধাদের। যন্ত্রণাক্লিষ্ট এই কর্মহীন বেকার যুবক-যুবতীরা যেমন তাদের ইনসাফ পাচ্ছেন না। ঠিক একইভাবে আজ পর্যন্ত আনিস খান, মইদুল মিদ্যার মৃত্যুও ইনসাফ থেকে বঞ্চিত। এর পাশাপাশি বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের সামিল হয়ে যারা শহীদ হলেন, ইনসাফ পাননি তারাও। একই সাথে ন্যায্য চাকরির দাবিতে কলকাতার রাজপথে যারা দিনের পর দিন বসে রয়েছেন, ইনসাফ মেলেনি তাদেরও। আর তাই এই ইনসাফের দাবি নিয়েই নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের ইনসাফ যাত্রা।
শুধুমাত্র কালিম্পং জেলা বাদ দিয়ে রাজ্যের ২২টি জেলা ছুঁয়ে যাবে এই যাত্রা। ৬০ দিন রাস্তায় থাকবেন যুবরা। এই ইনসাফ যাত্রা শেষে ৭ জানুয়ারি হবে ব্রিগেড সমাবেশ।
ইনসাফ যাত্রার প্রচার ট্যাবলো কোচবিহারে।
ডিওয়াইএফআই সূত্রে খবর, ৩ নভেম্বর সকালে কোচবিহার শহরের জেনকিন্স স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে সূচনা হবে এই ইনসাফ যাত্রার। সংগঠনের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ সংগঠনের রাজ্য স্তরে নেতারা উপস্থিত থাকবেন এই কর্মসূচিতে। প্রায় ৩ হাজার যুবক যুবতী এই ইনসাফ যাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন। কোচবিহার শহর থেকে পায়ে হেঁটে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া চৌপথি পর্যন্ত যাবেন তারা। এখান থেকে এই ইনসাফ যাত্রার দায়িত্ব গ্রহণ করবে সংগঠনের আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটি।
Comments :0