Jalpaiguri Storm

ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় প্রশাসন, ত্রাণ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ

রাজ্য জেলা

রবিবারের সেই কয়েক মিনিটের ঝড়ে তছনছ জলপাইগুড়ি , ময়নাগুড়ি , বার্নিশ , পুটিমারি বিভিন্ন এলাকা ধ্বংসলীলার দৃশ্য চোখে পড়ছে বুধবারও। এখনও মানুষ খোলা আকাশের নিচে। ঝড়ের তান্ডবে যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কাছে পৌঁছচ্ছে না ত্রাণ এমনই অভিযোগ উঠছিল বারবার। ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারগুলির হাহাকারের সেই ছবি প্রতিফলিত হয়ে ফুটে উঠেছে সংবাদ মাধ্যমে। তাতেই যেন নড়েচড়ে বসার চেষ্ট করেছে প্রশাসন। অবশেষে বুধবার বাধ্য হয়ে পৌছালো ত্রাণ, যদিও তা ছিল সামন্য। এদিন সকালে জেলাশাসক শামা পারভিন, জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা পৌছে যান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়‌। জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়িতে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হলেও জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের শহর সংলগ্ন খরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাত্র ছয় জনের বাড়ির হিসাবে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা শতাধিক। একই অবস্থা ময়নাগুড়িতেও। ঝড়ের পর চারদিন কেটে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি শুকনো খাবার খেয়ে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল গিয়েছিলেন ঝড়ের পর সেই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির কাছে। দিয়েছেন শুধু প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস। তারপরেও কেটে গেছে আরো কটা দিন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌছায়নি পর্যাপ্ত ত্রাণ। রয়েছেন সেই খোলা আকাশের নিচে। এদিন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ঘেরাও করে রাস্তায় গাছের ডাল ফেলে বিক্ষোভ দেখান ঝড়ে বিপন্ন মানুষগুলি। তাদের প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল এখানে এসে শুধুই কি রাজনীতি করে গেলেন। এভাবে আর কতো দিন তাঁরা থাকবেন খোলা আকাশের নিচে।   অবশেষে জেলা প্রশাসনের তরফে বুঝিয়ে ত্রাণ দেওয়া শুরু হয়। এদিন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে প্রশাসন পৌঁছে দেয় খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র সহ অন্যান্য সামগ্রী।

Comments :0

Login to leave a comment