Recruitment scam

গ্রেপ্তার জীবনকৃষ্ণ, কিন্তু তদন্তের সুরাহা কবে হবে?

রাজ্য

টানা ৬৪ ঘন্টা জিঞ্জাসাবাদ। তারপর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।

কে এই জীবনকৃষ্ণ? 

তৃণমূলের অভ্যন্তরে জীবনকৃষ্ণ অভিষেক ব্যানার্জির ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত। শোনা যায় ভাইপোর কথাতেই ২০২১ সালে বিধানসভায় টিকিট পান তিনি। তারপর বিধায়ক। 

এই অভিষেক ঘনিষ্ট বিধাবককে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। জেরা চলাকালিন বাড়ির পাঁচিল টোপকে পালানের চেষ্টা করেন তিনি। আবার মোবাইল ফোন জলেও ফেলে দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনটাতেই কিছু হয়নি। সোমবার সকালে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিজাম প্যালেস থেকে তাঁকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। সিবিআই সূত্রে খবর জীবনকৃষ্ণকে তারা নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন করবেন। 

জীবনকৃষ্ণকে জেরা করে নতুন কিছু পাওয়া যায় কিনা তা সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু একজন বিধায়কের বাড়ি থেকে বস্তা বস্তা মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড কিভাবে থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার জিঞ্জাসাবাদ চলাকালিন সিবিআইয়ের সামনে থেকে কি ভাবে তিনি পালানোর চেষ্টা করলেন, ফোন জলে ফেলে দিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। তৃণমূল বিধায়ক যখন এই সব কাজ করছেন বা করতে যাচ্ছেন তখন কি করছিলেন সিবিআই অধিকারিকরা।

হাই কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত হচ্ছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ একাধিক শিক্ষা অধিকারিক জেলে। তৃণমূল বিধায়ক থেকে যুব নেতা অনেকেই জেলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তদন্তের কোন সুরাহা করতে পারছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। 

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বার বার বলেছেন যে, ‘‘তৃণমূল গোটা রাজ্যে একটা দুর্নীতিতন্ত্র তৈরি করেছে। তাপস, পার্থ, কুন্তল না এই দুর্নীতির আসল মাথাকে ধরতে হবে।’’ 

উল্লেখ্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে থাকা তৃণমুল নেতা কুন্তল এবং অভিষেক ব্যানার্জিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইকে। কিন্তু হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে অভিষেককে এখনই জেরা করা যাবে না।   

Comments :0

Login to leave a comment