হাতে সময় এক ঘন্টারও কম। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ভূবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান।
টুর্নামেন্টের এ গ্রুপে রয়েছে কলকাতার দুই প্রধান। ২ দলই ২টি করে ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে ২টিতেই। কিন্তু গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।২ ম্যাচে করেছে ৫ গোল। বাগান সেখানে করেছে ২ ম্যাচে ২ গোল। তাই শুক্রবারের ম্যাচ ড্র করলেই নক আউটে চলে যাবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। অপরদিকে সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছতে হলে জিততেই হবে মোহনবাগানকে।
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, ডার্বি ম্যাচে কেউ ফেভারিট হয়না। কিন্তু তূল্যমূল্য বিচারে সামান্য এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমত, কার্লেস কুয়াদ্রাত নিজের দলের ডিফেন্সিভ শেপকে ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। রক্ষণে শক্তি যোগাচ্ছেন হিজাজি মাহেরের মত ডিফেন্ডার। একইসঙ্গে গোলের মধ্যে ফিরেছেন আক্রমণ ভাগের বিদেশী খেলোয়াড়রা।
মোহনবাগানের মূল সমস্য হিসেবে উঠে আসছে জাতীয় দলের জন্য একগুচ্ছ ফুটবলারকে ছেড়ে দেওয়া। একইসঙ্গে সদ্য কোচ বদল হয়েছে বাগানের। এএফসি কাপ এবং আইএসএলে পরের পর ম্যাচ হারার ফলে জুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাসকে কোচের আসনে বসিয়েছে বাগান ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে ডার্বির দিন ডাগ আউটে বসতে পারবেন না হাবাস। দায়িত্ব সামলাবেন সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা।
একইসঙ্গে বাগানের আক্রমণভাগের বিদেশীরা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারছেন না।
অ্যাডভান্টেজে থাকলেও লাল হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘আমরা জয়ের জন্য খেলতে চাই। ড্র করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠে নামব না।’’
বাগান কোচ মিরান্ডা দীর্ঘদিন ডেম্পো এবং জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। তিনি বিলক্ষণ বোঝেন ইস্ট-মোহনের মত সমর্থক ভিত্তিক ক্লাবের কাছে ডার্বি ম্যাচের মাহাত্ম্য। কিন্তু চাপ কমানোর জন্য তিনি বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচটা আমাদের কাছে বাকি পাঁচটা ম্যাচের মতো। বাড়তি চাপ নিতে চাই না। বরং প্রত্যাশার চাপ থাকবে ইস্টবেঙ্গলের উপর।’’
এই ম্যাচে যেই দলই জিতুক, তাঁদের প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি। ইতিমধ্যেই গ্রুপ বি থেকে সেমিফাইনালে চলে গিয়েছেন খালিদ জামিলের প্রশিক্ষণে থাকা দলটি।
Comments :0