Migrant Birds

ডানামেলা অতিথিদের ভিড় ব্যান্ডেলের ঝিলে

রাজ্য

ক্যাপশন- ব্যান্ডেল ঝিলে উড়ছে পরিযায়ী বেলে হাঁসের সারি। ছবি শুভ্রজ্যোতি মজুমদার।

শীত পড়তেই অগনিত বালি হাঁসের সারি আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে ব্যান্ডেল ষ্টেশন সংলগ্ন ঝিলে। বৃহস্পতিবার পড়ন্ত সূর্যের আলোয় হাজারে হাজারে বালি হাঁসের ঝাঁক সহ অগনিত পরিযায়ী পাখি দেখা গেলো ব্যান্ডেল ঝিল সংলগ্ন এলাকায়। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ছোঁয়াচ কাটিয়ে সবে একটু শীত গতি পেয়েছে তার মধ্যেই অগনিত পরিযায়ী পাখির ঝাঁক আসতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গে। ব্যান্ডেল তার বাইরে নয়। 
ব্যান্ডেলের বাসিন্দা প্রবীণ পক্ষীপ্রেমী ও ফটোগ্রাফার দিলীপ সোম বলেন, ‘‘এটা ঠিক প্রতিবছর পরিযায়ী পাখি যেমন বালি হাঁস, মৌটুসি (সানবার্ড), বসন্ত বৌরি (কপারস্মিথ বারবেট) শীত পড়তেই ব্যান্ডেল ঝিল সংলগ্ন এলাকায় চোখে পড়ে। দূর দূরান্ত থেকে পক্ষীপ্রেমী ও ফটোগ্রাফারেরা আসেন ব্যান্ডেল ঝিলে ছবি তুলতে। কিন্তু সমস্যা কি জানেন? ফটোগ্রাফারদের নিরাপত্তা কোথায়? কিছু দুষ্কৃতী ও সুযোগসন্ধানী মানুষ আছেন যাদের উৎপাতে ছবি তোলাটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। রেল ও রাজ্য সরকার যদি ঝিলের সৌন্দর্য্যায়নের ব্যাবস্থা করে। ফটোগ্রাফারদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করে তাহলে হুগলী জেলার বুকে একটা দর্শনীয় স্থান হিসেবে ব্যান্ডেল ঝিল জায়গা করে নিতে পারে।
 

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বিশাল ঝিলের মধ্যে পাখিদের আদর্শ পরিবেশ গড়ে উঠে। পাখিদের যাতে কেউ বিরক্ত না করে সেদিকেও খেয়াল রাখেন এলাকার পক্ষীপ্রেমীরা। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পরিযায়ী পাখিদের ভিড় বাড়তে থাকে এই ঝিলে। এখানেই ডিম দিয়ে বাচ্চাদের বড় করে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে তারা ধীরে ধীরে ফিরে যেতে শুরু করে।
শীত পড়তেই ঝিলে এসে গিয়েছে পরিযায়ী পাখীর দল। প্রায় সারাদিনই ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখীর দলের কলরব শোনা যাচ্ছে ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া গামী লাইনে স্টেশন ছাড়ার পরই ডানদিকের বিশাল ঝিল থেকে। 


 

পক্ষী বিশারদদের মতে, এই ব্যান্ডেল ঝিল সংলগ্ন এলাকায় মোহনচূড়া বা (ইউরেশিয়ান হুপহুপ) দেখা গিয়েছে। ইয়োরোপে এই পাখি খুব সাধারণ হলেও, বঙ্গদেশে বিরল বলা চলে। গ্রাম বাংলায় এই পাখিটিকে হুতুম বা হুমহুম বা বাংলাদেশে হুদহুদ পাখি বলা হয়। আগে গ্রাম বাংলায় এই পাখি খুব সহজে দেখা মিলতো। এই প্রজাতিটির বিশেষত্ব নির্জন এলাকায় এই পাখিটি থাকতে ভালোবাসে। গ্রাম বাংলার স্বাভাবিক নির্জনতা এখন ক্রমশ বিরল হয়ে যাওয়ায় বঙ্গদেশে এই পাখির পরিযান কমে গিয়েছিলো। আব‍ার বহু বছর পর এর ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়লো।

Comments :0

Login to leave a comment