ডুরান্ড কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব এফসিকে ২-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। এই ম্যাচ থেকেই বেঞ্চে ফিরলেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরেন্দো।
ম্যাচ শুরুর বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে ছিল সমর্থকদের ভিড়। ফ্ল্যাগ উড়িয়ে প্রিয় দলকে সমর্থন এবং সবুজ মেরুন জনতার উন্মাদনা নজর কাড়ল বারবার। মেরিনার্স বেস ক্যাম্প, মোহনবাগান আল্ট্রাস এবং মেরিনার্স ডি এক্সট্রিম সহ অন্যান্য ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা এবং প্রচুর সমর্থক দলকে উৎসাহ দিতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন এদিন।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই তুল্যমূল্য লড়াই শুরু হয় দুই দলের মধ্যে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে, ড্রাম বাজিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে প্রিয় দলকে সমর্থন করতে দেখা গেল মোহনবাগান সমর্থকদের। ম্যাচের ১৭ মিনিটে, ফাউল করার অপরাধে হলুদ কার্ড দেখেন সবুজ মেরুনের শুভাশিস বোস।
ঠিক ম্যাচের ২৩ মিনিটে, মেলরয় আসিসির আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। যদিও ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে পঞ্জাবও। শেষপর্যন্ত প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ফলাফল নিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি পরিবর্তন করেন মোহনবাগান হেডস্যার জুয়ান ফেরেন্দো। সুহেলের পরিবর্তে মাঠে আসেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। কয়েকমুহূর্ত পরই, ব্রেন্ডন হ্যামিলের শট একটুর জন্য বাইরে যায়। কিন্তু সবুজ মেরুন ঝড় তখনও বাকি ছিল।
এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ফের ব্যবধান বাড়ায় বাগান। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে, বাঁ-প্রান্ত দিয়ে লিস্টন কোলাসোর ফ্রিকিক থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন হুগো বুমৌস।
২ গোলে পিছিয়ে পড়ে রাউন্ডগ্লাসও একটি পরিবর্তন করে। লিয়ন অগাস্টিনের বদলে মাঠে আসেন জুয়ান মেরা। তবে লুকা মাজসেনের শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত না হলে, ব্যবধান কমাতে পারত পঞ্জাব। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে দুরন্ত একটি সেভ করেন মোহনবাগান গোলরক্ষক ভিশাল কাইথ।
মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। কলকাতা ডার্বির আগে খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিলেন মোহনবাগান কোচ। বুমৌসকে তুলে মাঠে নামান কিয়ান নাসিরিকে, গ্লেন মার্টিন্সের পরিবর্তে নিয়ে আসেন হামতেকে এবং শুভাশিসের বদলে আনেন সুমিত রাঠিকে।
শেষপর্যন্ত, ২-০ গোলে জিতে ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিল মোহনবাগান।
Comments :0