NCP Maharashtra

এনসিপি শাসক না বিরোধী? প্রশ্ন অধ্যক্ষের মনে

জাতীয়

অজিত পাওয়ারের এনসিপি কি বিজেপি শিবসেনার জোট সঙ্গী? নাকি এখনও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল? নিশ্চিত নন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকার। সংবাদমাধ্যমে নারওয়েকার বলেছেন, তিনি এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি যে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) শিবসেনা-বিজেপি সরকারের একটি অংশ নাকি এখনও বিরোধী দলে রয়েছে।
রবিবার অজিত পাওয়ার শিন্ডে সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছএন। অজিত পাওয়ার ছাড়াও, ছগান ভুজবল এবং হাসান মুশরিফ সহ আরও আট এনসিপি বিধায়ক শিন্ডের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। 


এর পরপরই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান যে অজিতের সরকার যোগদানের বিষয় তিনি কিছু জানতেন না। 
সোমবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, নারওয়েকার বলেছিলেন যে এনসিপি’র বিভাজন সম্পর্কে তার কাছে কোন চিঠি বা কোন তথ্য নেই।
তিনি বলেন, ‘‘আমি এখনও নিশ্চিত করতে পারিনি যে এনসিপি রাজ্য সরকারের একটি অংশ নাকি এখনও বিরোধী দল রয়েছে।’’
উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন অজিত পাওয়ার।


নরওয়েকর বলেন, ‘‘আমি এনসিপি বিধায়ক জয়ন্ত পাটিলের কাছ থেকে শুধুমাত্র একটি আবেদন পেয়েছি যাতে নয়জন বিধায়কের (অজিত পাওয়ার এবং তার সাথে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়া অন্য আটজন) অযোগ্য ঘোষণা করা হয় সেই আবেদন করা হয়েছে। এনসিপি-র অন্য কোনও নেতার কাছ থেকে কোনও লিখিত কিছু পাইনি এই বিষয়।’’
কতজন এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ারকে সমর্থন জানিয়েছেন জানতে চাইলে নরওয়েকর বলেন, ‘‘আমার কাছে এই বিষয়ে কোন তথ্য নেই। বিধানসভায় দলগত শক্তি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।’’


উল্লেখ্য প্রফুল্ল পাটিল সহ দলের একাধিক নেতাকে সাসপেন্ড করেছে এনসিপি। কিন্তু সোমবার অজিত পাওয়ার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন যে তাদের দলের সর্বভারতীয় সভাপতি শরদ পাওয়ার। 
২৮৮জনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এনসিপির বিধায়ক সংখ্যা ৫৩। অজিতের দাবি তার সাথে ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। 


আগামী কয়েক দিন পর শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন সেই অধিবেশনে অজিতের শিবির বদল নিয়ে নতুন কিছু হয় কি না সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
তবে অজিতের সাথে বিজেপি সুসম্পর্ক অনেক দিনের। নিজের আত্মজীনবীতে শরদ পাওয়ার সরাসরি অজিতের সাথে বিজেপির সম্পর্কের কথা উল্লেখ না করলেও একটা আভাস দিয়েছেন। তাতে ২০১৯ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। পাওয়ার লিখেছেন, ‘২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর অজিত যখন বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যায় বিজেপির বিধায়কদের সাথে শপথ নিতে তখন তার খবর পেয়ে উদ্ধব থ্যাকারেকে সব কিছু জানাই। বিধায়করা আমার কথায় ফিরে আসে। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সবাইকে জানাই যে আমার নাম করে বিধায়কদের বিভ্রান্ত করে শপথের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।’’

Comments :0

Login to leave a comment