এলাকার দোকানগুলিতে স্মার্ট মিটার লাগানো শুরু হয়ে গেছে। খুব আতঙ্কে আছি। বলছিলেন তাজপুরের বাসিন্দা বাবলু সরদার। মাটনিয়ার সহিদুল ইসলাম বলছিলেন চামটা হাটখোলায় ধান কলে স্মার্ট মিটার লাগিয়ে গেছে। মাঠে মাঠে যে সব কৃষকরা জল দেওয়ার জন্য স্যালো ব্যবহার করে সেখানেও স্মার্ট মিটার বসানো শুরু হয়েছে। গ্রামের লোক আতঙ্কে আছেন। মান্নান মণ্ডল, গোটরার হারান মণ্ডল, পিফার হায়দার মোল্লারাও আতঙ্কিত।দিনমজুরি করা এই মানুষগুলির আশঙ্কা নুন আনতে পান্তা ফুরায়। যা শুনছি তাতে করে তো ভবিষ্যতে অন্ধকারে কাটাতে হবে। মঙ্গলবার তাঁরা দলবদ্ধভাবে এসেছেন স্মার্ট মিটার বাতিলের দাবিতে মিছিলে পা মেলাতে। বসিরহাটের টাউনহল থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে পা মেলান বসিরহাট ১নং ব্লকের কৃষক শ্রমিক খেতমজুররা। তাঁরা এক যোগে আওয়াজ তোলে স্মার্ট মিটার বাতিল করো। ইটিন্ডা রোড, এসএন মজুমদার রোড ধরে মিছিল এসে শেষ হয় ময়লাখোলা এলাকার টাকী রোডের ধারে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির অফিসের সামনে। সেখানে বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক নেতা রাজীব বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ সর্বভারতীয় নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জি, কৃষক নেতা কালিদাস বিশ্বাস।বিক্ষোভ সভা চলাকালীন কৃষক, শ্রমিক ও খেতমজুর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৭ জনের প্রতিনিধিদল দেখা করেন ডিডিশলান ম্যানেজার মিজানউদ্দিন সরদারের সঙ্গে। জমা দেন ৮ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি। আলোচনা চলে দীর্ঘক্ষণ। আলোচনা শেষে সভায় তার নির্যাস ব্যাখ্যা করেন শ্রমিক নেতা প্রতাপ নাথ।
সভায় গার্গী চ্যাটার্জি কটাক্ষের সুরে স্মার্ট মিটারকে স্মার্ট চিটার বলে উল্লেখ করেন। স্মার্ট মিটারের সর্বনাশা দিকগুলি তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতি মূহুর্তে দীন আনা দিন খাওয়া মানুষদের আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। সভ্যতার অগ্রগতিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার বিলাসিতা নয়। একথা ব্যক্ত করে গার্গী চ্যাটার্জি বিদ্যুৎ মানুষের মৌলিক অধিকার। তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করেন।
Prepaid Smart Meters
স্মার্ট মিটার বাতিলের দাবিতে বসিরহাটে মিছিল
×
Comments :0