পাক বোর্ড জানিয়েছে, প্রমাণ ছাড়া কোনও ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে বড় আকারের জরিমানার মুখোমুখি হবেন পত্রিকা কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, উপহার হিসেবে একটি বহুমূল্য গাড়ি নিয়েছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। এক জনপ্রিয় পাকিস্তানি ইউটিউবার এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনেন। দলের শোচনীয় পারফর্মেন্সের ফলে এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিল গোটা দেশ। এই খবর সামনে আসায় নতুন করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সমালোচনা বহু ক্ষেত্রে শালিনতার সীমা ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে দমন পীড়ন মূলক আইনের আশ্রয় নিয়েছে পাক প্রশাসন।
টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে গ্রুপ স্তরের ম্যাচে ৪টির মধ্যে ২টিতে হেরেছে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে আমেরিকার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি শাহিন আফ্রিদিরা। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ ভেস্তে যায়। তারপরেই ইসলামাবাদ ফেরতের টিকিট পাকা হয়ে যায় পাক দলের।
এরই মাঝে একটি খবর ফাঁস করে পাক সংবাদমাধ্যম। বলা হয়, ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ এবং বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মিলিয়ে পাক দলের মোট সদস্য ছিলেন ৩৪ জন। এর পাশাপাশি ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যরাও সেই দলে ছিলেন। সেই সংখ্যাটা ২৬-২৮। পাকিস্তান বোর্ডের টাকায় ক্রিকেটারদের স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা কিংবা ভাই বোনেরা আমেরিকা গিয়েছে, এবং ইচ্ছামত ঘুরে বেড়িয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা খবর অনুযায়ী, সেই তালিকায় বাবর আজমের পাশাপাশি হারিস রৌফ, শাদাব খান, ফখর জামান, মহম্মদ আমিরের মত ক্রিকেটারের পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে।
পাক বোর্ড বা পিসিবি’র একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ক্রিকেটারদের মনসংযোগে ব্যঘাত ঘটিয়ে থাকতে পারে। একইসঙ্গে বোর্ডের টাকায় আমেরিকা ভ্রমণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে পরিবারের সঙ্গে ফাস্ট ফুড খেতে, কিংবা শপিং করতেও দেখা গিয়েছে একাধিক পাক ক্রিকেটারকে।
ক্রীড়া মহলের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমের তৎপরতার ফলে ক্রিকেটার এবং বোর্ডের এইরকম বিধিভঙ্গের খতিয়ান প্রকাশ্যে এসেছে। তারফলেই সাংবাদিকদের নিয়মের বেড়াজালে বাঁধার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
Comments :0