Rahul Gandhi on women reservation bill

শীঘ্র প্রয়োগ করতে হবে মহিলা সংরক্ষণ আইন : রাহুল গান্ধী

জাতীয়

অবিলম্বে সংসদে এবং বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হোক। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দাবি করছি শীঘ্র মহিলা সংরক্ষণ আইন চালু করা হোক। কিন্তু সরকার এই আইন এখনই প্রয়োগ করতে চাইছে না। তারা আসন পুনর্বিন্যাস এবং জাতি ভিত্তিক জনগননার বিষয়কে সামনে রেখে এই সংরক্ষণ আইনে ঝুলিয়ে রাখতে চাইছে।’’ 
উল্লেখ্য ২০০৮ সালে মনমোহন সিংহ সরকার রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করালেও লোকসভায় তারা তা করাতে পারেনি। সেই সময় সমাজবাদী পার্টি এবং আরজেডি’র মতো ইউপিএ শরিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এই সংরক্ষণের মধ্যে ওবিসি মহিলাদের জন্য আলাদা সলরক্ষণের ব্যবস্থা রাখার। কিন্তু সেই সময় ইউপিএ ১ সরকার সেই দাবি মানেনি। যার ফলে লোকসভায় ঐক্যমত্যায় না আসায় বিল পাশ করতে পারেনি কংগ্রেস। তবে এই বিল প্রথম পেশ করা হয় ১৯৯৬ সালে দেবে গৌড়া সরকারের সময়। সেই সময় লোকসভা ভেঙে যাওয়ায় বিলটি বাতিল হয়ে যায়।


শুক্রবার রাহুল বিল না পাশ করানোর ক্ষেত্রে তৎকালিন কংগ্রেস সরকারের ব্যার্থতা মেনে নেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনুতপ্ত যে এই বিল পেশ করলেও তা আমরা সংসদের উভয় কক্ষে পাশ করাতে পারিনি।’’ 
তবে এই আইন সংরক্ষণের পূর্বে আসন পুনর্বিন্যাস এবং যেই জনগননার কথা সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে কেবল মাত্র ‘অজুহাত’ বলে চিহ্নিত করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে সংসদে বিলটি পাশ করিয়ে সাধারন ভোটারদের মন জিততে চাইছে মোদী সরকার।


সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, আমরা ২৫ বছর ধরে এই বিলের অপেক্ষায় রয়েছি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর প্রথম কাজ হবে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। কিন্তু এখন বিলে বলা হচ্ছে, প্রথমে জনগণনা হবে, তারপর তার ভিত্তিতে ডিলিমিটেশন হবে, তারপর সংরক্ষণ চালু হবে। অর্থাৎ এই বিল ২০৩৪ সালেও লাগু হবে কিনা, সেটা নিশ্চিত নয়। এটা কি তবে আরেকটা মোদী ‘জুমলা’?

Comments :0

Login to leave a comment