Rahul Gandhi

রাহুলের চ্যালেঞ্জে সাড়া, ১৩ এপ্রিল শুনানি সুরাটের আদালতে

জাতীয়

রাহুল গান্ধীর আবেদন গ্রহণ করল সুরাটের নগর দায়রা আদালত। মানহানি মামলায় বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেসের এই নেতা। ১৩ এপ্রিল শুনানির দিনও ঠিক করেছে নগর দায়রা আদালত। 

আইন বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ জানাচ্ছে, রাহুল গান্ধীকে জামিনও দিয়েছে সুরাটের জেলা ও নগর দায়রা আদালত। অভিযোগকারী বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীকে নোটিশও পাঠিয়েছে দায়রা আদালত। পূ্রণেশ মোদীকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। 

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের রাহুল গান্ধীর ‘সব চোরদের নামের শেষে মোদী কেন’’ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় রাহুলকে দু’বছর জেলের সাজা দেয় সুরাটের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। ২৩ মার্চ রায় ঘোষণার পরদিনই, লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হয় রাহুলের। ম্যাজিস্ট্রেটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন যান রাহুল। এদিন ১৩ এপ্রিল মামলার শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে। অর্থাৎ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। 

কারাদণ্ডের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়ে দায়রা আদালতে আবেদন জানান রাহুল। সোমবার কারাদণ্ডের রায়ে যদিও স্থগিতাদেশ জারি করেনি আদালত। এই স্থগিতাদেশ মিললে সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারেন রাহুল গান্ধী।  


রাহুলের সাথে আদালতে যান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ভুপেশ বাঘেল ও সুখবিন্দর সিং সুখু। রাহুলের আবেদন এবং সঙ্গে করে বোন প্রিয়াঙ্কা এবং তিনজন মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে করে আদালতের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে ‘শিশু সুলভ আচরণ’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ললিত মোদী, নীরব মোদীর মতো দেশের ব্যাঙ্ক লুটে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া জালিয়াতদের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন কর্ণাটকের কোলারে। ‘সব চোরদের পদবি মোদী কেন।’ গুজরাটের বিজেপি নেতা বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী মানহানি মামলা দায়ের করেন সুরাটে। সেই মামলায় সুরাট আদালত রাহুলকে দু’বছর জেলের সাজা দেয়। আদালত যদিও রাহুলের জেলের আগে একমাস সময় দেয় উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য। 

 

সাংসদ পদ খারিজের পরই রাহুলকে নোটিশ পাঠিয়ে সাংসদ হিসেবে বরাদ্দ বাংলো ২২ এপ্রিলের মধ্যে খালি করার নির্দেশ পাঠিয়েছে সরকার। সংসদ সদস্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অনেককে বাংলো ছাড়ার জন্য এর থেকে ঢের বেশি সময় দেওয়া হয়, মনে করিয়েছে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। 

Comments :0

Login to leave a comment