রবিবার রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ধান্দার পুঁজিপতি রয়েছে। তাঁদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্ষেত্রকে পিষে মারা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের যুবসমাজের কাছ থেকে কাজের সমস্ত সুযোগ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
রাহুল বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থাগুলি একসময় দেশের গৌরব ছিল। সারা দেশের যুবসমাজ সেখানে চাকরি করার স্বপ্ন দেখত। কিন্তু বর্তমান সরকারের কাছে এই ক্ষেত্রগুলি একেবারেই গুরুত্বহীন।
রাহুল পরিসংখ্যান পেশ করে বলেন, ২০১৪ সালে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ক্ষেত্রে চাকরি করতেন ১৬.৯ লক্ষ মানুষ। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৬ লক্ষে। বিএসএনএলে চাকরি কমেছে ১,৮১ লক্ষ, স্টিল অথারিটি অফ ইন্ডিয়া বা সেলে চাকরি কমেছে ৬১ হাজার, এমটিএনএলে চাকরি হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার, ওএনজিসিতে চাকরি কমেছে ২১ হাজার এবং ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ২৮ হাজার।
রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তুলেছেন, একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের পরিধি কীভাবে হ্রাস পেতে পারে?
কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করে রাহুল টুইট করে বলেন, বছরে ২ কোটি চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে, ২লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ হাওয়ায় মিলিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
এর পাশাপাশি রাহুল অভিযোগ করেছেন, স্থায়ী নিয়োগ সঙ্কুচিত করে ঢালাও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সংরক্ষণ বিধি মানা হচ্ছে না। তাঁর অভিযোগ, এই ভাবে বেসরকারীকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে সংস্থাগুলিকে।
বিজেপি স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিকে ‘অমৃতকাল’ বলে চিহ্নিত করেছে। রাহুল প্রশ্ন করেন, একদিকে শিল্পপতিদের ঋণ মুকুব করা হচ্ছে, অপরদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে। এটা কী ধরণের অমৃতকাল? অমৃতকাল হলে সেখানে চাকরির সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে কীভাবে?
রাহুল এদিন বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থাগুলি দেশ এবং দেশের মানুষের সম্পদ। এই সংস্থাগুলিকে রক্ষা করা এবং এগুলিকে এগিয়ে নিয়ে গেলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনীতিকেও মজবুত করা সম্ভব। এই সংস্থাগুলিকে সরকারি ভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে ভারতের প্রগতীর পথও সুনিশ্চিত করা সম্ভব।
Comments :0