Post Editorial

২০ এপ্রিল প্রতিরোধের ব্রিগেড গড়ো

উত্তর সম্পাদকীয়​

অনাদি সাহু


কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী দেশবিরোধী সর্বনাশা নীতির প্রতিবাদে শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর এবং বস্তি উন্নয়ন সংগঠন আগামী ২০এপ্রিল শ্রমজীবী জনতার ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ আহ্বান করেছে। বৈশাখের প্রখর রৌদ্রকে উপেক্ষা করে ঐদিন ব্রিগেড সমাবেশ হবে প্রতিবাদ প্রতিরোধের জনতার ব্রিগেড।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আর্থিক নীতি দেশের শ্রমিক কৃষক সহ সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। বিশেষ করে গত ১০ বছর নরেন্দ্র মোদীর জমানায় কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। কলকারখানায় তীব্র শোষণ চলছে। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, প্রতিরক্ষা শিল্প সহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণের নামে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিয়ে কার্যত লুট ও দেশ বিক্রি চলছে। সাথে বিজেপি-আরএসএস’র হিন্দুত্বের রাজনীতি। চলছে সাম্প্রদায়িক বিভাজন, হিংসা, ঘৃণা, মেরুকরণের রাজনীতি, মানুষের ঐক্যকে ধ্বংস করছে। কর্পোরেট কমিউন্যাল নেক্সাস দেশে ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে এনেছে। দেশে ফ্যাসিবাদের বিপদ বাড়ছে। বিজেপি আরএসএস’র শাসনে নয়া ফ্যাসিবাদী শক্তির আক্রমণ তীব্র হচ্ছে। এক দেশ, এক দল, এক নেতা এই ভাষ্য আনছে। ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন মত, দলিত, আদিবাসী ও মহিলাদের উপর আক্রমণ বাড়ছে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় নীতি, সংবিধান, বহুত্ববাদী সংস্কৃতি, যুক্ত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সবই আক্রান্ত হচ্ছে। প্রচার মাধ্যম, মিডিয়াকে কুক্ষিগত করা হয়েছে। প্রচারে সর্বত্র সঙ্ঘ পরিবারের আধিপত্য চলছে। নির্বাচন কমিশন, বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা, বিনা বিচারে আটক আইন ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধী দল ও মতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে বামপন্থী ও প্রতিবাদী ছাত্র, যুব, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক। 

কৃষিক্ষেত্রকে কর্পোরেট লুটের জন্যে পুনরায় উন্মুক্ত করা হচ্ছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী মোদীর জমানায় ২০১৪-২২ সময়কালে দেশে ১০০,৪৭৪ জন কৃষক ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে। সরকার ঋণ মকুব করেনি। কিন্তু ঋণ খেলাপি, দুর্নীতিগ্রস্ত পুঁজিপতিদের ১৭ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করা হয়েছে। আবাস যোজনা ও রেগার কাজ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। গ্রামে রেগার কাজ বন্ধ। কাজ নেই। মজুরি বৃদ্ধিও ঘটেনি। ফলে ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে ক্ষেতমজুররা। তাই সর্বত্র ১০০দিনের কাজে ৬০০টাকা মজুরি, ২০০দিন কাজের দাবিতে লড়াই তীব্র করতে হবে। 

বিদ্যুৎ শিল্পকে বেসরকারিকরণ করা শুরু হয়েছে। টোটেক্স স্মার্ট মিটার কর্পোরেটদের সুবিধার জন্যে করা হচ্ছে। মালিক শ্রেণির অবাধ লুণ্ঠনের জন্যে লেবার কোড লাগু করার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি’র সরকারগুলি তৎপর হয়ে উঠেছে। উদার অর্থনীতির প্রথম থেকেই কলকারখানায় শ্রম সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটিয়ে স্থায়ী কাজে অস্থায়ী কন্ট্রাক্টচুয়াল, ক্যাজুয়াল কর্মী নিযুক্তি, মজুরি হ্রাস করে শ্রমিকদের সর্বনাশের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বিজেপি’র আর্থিক নীতি, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ, জনবিরোধী বাজেট, দেশ বিক্রির নীতি, নগ্নভাবে দেশি-বিদেশি বৃহৎ পুঁজির তোষণ দেশের স্বনির্ভর অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে, দেশের অর্থনীতিতে ভয়ঙ্করভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শ্রমকোড কার্যকরী হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। শিল্প কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির হার কমে গেছে। শ্রমিক কৃষক সহ দেশের সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। দেশে অভুক্ত, অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে আন্তর্জাতিক হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচ আই) রির্পোটে ২০২৪ সালে ১২৭টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০৫। ২০২৪ সালে দারিদ্রেরইনডেক্সে ভারতের স্থান ১৪৩ দেশের মধ্যে ১২৬, ২০২৩ সালে অবস্থান ছিল ১২৫তম স্থানে। অর্থাৎ দেশের মানুষের আর্থিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে।

মোদীর জমানায় কার্যত আদানি আম্বানি ও বৃহৎ পুঁজির লুটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দেশের অর্থনীতির অভিমুখ ভয়ঙ্করভাবে দেশি বিদেশি একচেটিয়া পুঁজি ও কর্পোরেট পুঁজি অভিমুখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিণতিতে আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যায় বেকারি, ধনী দরিদ্রের বৈষম্য বৃদ্ধি। লক্ষ লক্ষ কর্মহীন মানুষের ভিনরাজ্যে জীবন বিপন্ন করে পরিযায়ী শ্রমিকের অরক্ষিত জীবিকা গ্রহণ অনেকের জীবনে বিপদ বেড়েই চলেছে এতৎ সত্ত্বেও বিজেপি-আরএসএস’র কেন্দ্রীয় সরকার জনজীবনের সমস্যাগুলিকে উপেক্ষা করে আর একটি জনস্বার্থ বিরোধী ঔদ্ধত্যের বাজেট পেশ করেছে।


 

শ্রমকোড: কোভিড পরিস্থিতিতে শ্রমিক শ্রেণি ও জনগণ যখন গৃহবন্দি বিরোধী শূন্য পার্লামেন্টে মালিক শ্রেণির স্বার্থে ২৯টি শ্রম আইন বাতিল করে ৪টি শ্রমিক বিরোধী শ্রমকোড তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিবাদ ও আন্দোলনের চাপে এতোদিন তা কার্যকর করতে পারেনি। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আগামী ১ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে তা কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রসর হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিজেপি শাসিত সমস্ত রাজ্যে তার প্রস্তুতি চলছে। মালিক শ্রেণির আরও শোষণ ও মুনাফার স্বার্থে কলকারখানায় মধ্যযুগীয় বর্বর শোষণ ব্যবস্থা কায়েম করতে চলেছে। পূর্বেই কলকারখানায় শ্রম সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটিয়ে স্থায়ী কাজে মজুরিতে কন্ট্রাক্টচুয়াল, ক্যাজুয়াল শ্রমিক নিযুক্ত করে শ্রমিকদের মজুরি হ্রাস করে মালিকদের মুনাফা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন শ্রম আইন লেবার কোডে দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রের ৭৫-৭৬ভাগ শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতার বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ন্যূনতম মজুরির অধিকার, আট ঘণ্টা কাজ, স্থায়ী কাজে স্থায়ী চাকরি, সামাজিক সুরক্ষা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের অধিকার সবই অস্বীকার করা হয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের পুরানো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি বাতিল বা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন সামাজিক সুরক্ষার আইনে অসংগঠিত শ্রমিকদের মজুরি ও আয় বৃদ্ধির কোনও প্রস্তাব বা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের তহবিলের কোনও সংস্থান রাখা হয়নি। নতুন আইনে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নে সংগঠিত হওয়া আন্দোলন করা, ধর্মঘট করা, মালিকদের সাথে দর কষাকষি করা প্রায় নিষিদ্ধ, নতুন আইনে শ্রমিক নেতৃত্বের জেল জরিমানা, চাকরিছেদের ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এইভাবে নরেন্দ্র মোদী দেশকে লুটেরা পুঁজির মৃগয়া ক্ষেত্র বানাতে চাইছে। আগামী ১এপ্রিল বা যে কোনও দিন শ্রমকোড কার্যকরী হলে শিল্প কলকারখানা সহ সর্বত্র প্রতিবাদের ঢেউ তুলতে হবে এবং ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিতে হবে। শ্রমকোড বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। শ্রমিক শ্রেণির অর্জিত অধিকারকে রক্ষা করতে হবে।


 

রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র রক্ষার লড়াই: আগামী ৫ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকার রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র বিক্রি করে কেন্দ্রীয় রাজস্ব হিসাবে অর্থসংগ্রহের কথা পুনরায় বাজেটে ঘোষণা হয়েছে। দেশের ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, প্রতিরক্ষা, কয়লা, বন্দর, ইস্পাত, বিদ্যুৎ সহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র দেশের স্বনির্ভর অর্থনীতির মেরুদণ্ড, দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে রক্ষার ক্ষেত্রভিত্তিক লড়াইয়ের সাথে দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির লড়াই চলছে, সেই লড়াইকে আরও প্রসারিত এবং জোরদার করতে হবে। শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর সহ সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষকে যুক্ত করতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।


 

রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হটাতে হবে:তৃণমূল সরকার গত ১৩বছর ধরে রাজ্যে সন্ত্রাস ও লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। পুঁজিপতিদের স্বার্থে একই আর্থিক নীতি নিয়ে চলেছে। চা বাগান, চটকল সহ সর্বত্র মালিক তোষণ নীতি চলছে। ক্ষমতায় এসেই ৪৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রের মতো রাজ্যেকর্মসংস্থান, শিল্পায়ন, জেশপ, ডানলপ, হিন্দমোটর সহ বন্ধ কলকারখানা খোলার কোন উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি। রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি ঘটছে না। এখানে শ্রমিকদের মজুরি দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শিল্প কারখানায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেও তা কার্যকর হয় না। শ্রমিক আন্দোলন ধর্মঘটের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি চলছে। এতদ্‌সত্ত্বেও রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে না। রাজ্যে দুর্নীতি ও লুট চলছে। কৃষির উন্নয়ন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মহিলাদের নিরাপত্তা সব কিছুতেই এই সরকার ব্যর্থ। পরিবর্ত্তে রাজ্যজুড়ে গুন্ডামি, মহিলাদের উপর নির্যাতন চলছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কার্যত গণতন্ত্র বিপন্ন। সারদা, নারদ থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, সমাজ কল্যাণ, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প, ১০০দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রকল্প-সমস্ত কিছুতে লুট, দুর্নীতি, চাকরি বিক্রি সাথে কয়লা, বালি, গোরু পাচার চলছে। দুর্নীতির দায়ে একের পর এক নেতা, এমএলএ. এমপি, মন্ত্রী, জেলে যাচ্ছে। রাজ্যের সম্মানকে জলাঞ্জলি দিয়ে দুর্নীতি লুটকে মমতা ব্যানার্জি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। মুখে ‘বামপন্থী’ বুলি, পায়ে হাওয়াই চম্পল আর আর্থিক নীতিতে আদানি আম্বানি ও বৃহৎ পুঁজিপতিদের তোষণ। 

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র সাথে তৃণমূলের বিপুল পরিমাণে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি ও কর্পোরেটের সমর্থন মমতা ব্যানার্জির দল ও সরকারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আবার প্রকাশ করেছে। অভয়াকাণ্ডে সিবিআই’র ভূমিকাতে রাজ্য সরকারের অবস্থানকে আরএসএস’র প্রকাশ্যে সমর্থন তৃণমূল, বিজেপি’র বোঝাপড়াকে পুনরায় প্রকাশ্যে এনেছে। আরএসএস’র সাংগঠনিক বিস্তারে তৃণমূল ও মমতা ব্যানার্জির সরকারের বোঝাপড়া, রাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতির নির্মাণে দুই রাজনৈতিক দলের ধর্ম নিয়ে মাতামাতি মানুষকে বোঝাতে হবে। বিজেপি- আরএসএস’র সাথে তৃণমূল দলের দীর্ঘ বন্ধুত্ব ও এক সাথে কেন্দ্রীয় সরকারে সঙ্গে ঘর করা, রাজ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে দুই দলের সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম নিয়ে চক্রান্ত, মারদাঙ্গা করার ইতিহাস রাজ্যের মানুষের নিশ্চয়ই স্মরণে আছে। 

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ উপলক্ষে রাজ্যে হিন্দুত্বের মতাদর্শের বিস্তার সহ বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের মতো ৫৭টি সংগঠনকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কুম্ভমেলার পর রাম নবমী নিয়ে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার চক্রান্ত ওদের পরবর্তী কর্মসূচি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্যের শ্রমিক শ্রেণি ও খেটে খাওয়া মানুষ বামপন্থীদের সতর্ক থাকতে হবে। এর বিপরীতে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা ও দেশ রক্ষার লড়াই এবং ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতিকে পরাজিত করতে রাজ্যের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। রাজ্যে বামপন্থীদের নেতৃত্বে বিকল্প শক্তির নির্মাণ করতে হবে। শ্রমিক শ্রেণির সামনে এর বিকল্প কিছু নেই। 

দেশকে বাঁচাতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে রাজ্যে সিআইটিইউ, কৃষকসভা, ক্ষেতমজুর সংগঠন এবং বস্তি উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই সরকারের লুট, দুর্নীতি, জনবিরোধী দেশবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে তীব্র করতে, স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে শ্রমজীবী মানুষের ঐতিহাসিক সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। আসুন এই সমাবেশকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ব্রিগেডে পরিণত করি।

Comments :0

Login to leave a comment