Corruption

স্কুলের পোশাকেও দুর্নীতি অভিযোগ টাকি পৌরসভায়

রাজ্য জেলা

উদ্ধার হওয়া স্কুল ইউনিফর্মের কাপড়।

ফের শিরোনামে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত টাকি পৌরসভা। অনাস্থা প্রস্তাবের নিয়ে যখন তৃণমূলের বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর এবং প্রশাসনের দড়ি টানাটানি চলছে এবং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল ঠিক তখনই পৌরসভার দুর্নীতি নিয়ে পড়ে গেল শোরগোল।
টাকি পৌরসভায় স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিফর্ম বানানোর ১৮ হাজার মিটার কাপড় চুরির ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। উঠছে সমালোচনার ঢেউ। 
এবারে টাকি পৌরসভায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো। পৌরো প্রধানের নেতৃত্বে চারজন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। বিলে কারচুপি করে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের ইউনিফর্ম করার টাকা তুলে নিয়ে আঠারো হাজার মিটার কাপড় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পৌরপ্রধান ও চারজন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। পৌরসভার কাউন্সিলরদের অভিযোগ এই ১৮ হাজার মিটার কাপড় চুরির পিছনে পৌরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে। অবশেষে টাকি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজীর প্রচেষ্টায় চুরি হয়ে যাওয়া ১৮ হাজার মিটার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিফর্মের কাপড়ের ১৪ হাজার মিটার কাপড় বাদুড়িয়ার যদুরহাটি এলাকা থেকে উদ্ধার করে টাকি পৌরসভাতে রাখা হয়েছে। এই মর্মে প্রশাসনিক দপ্তরে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করে কোন ফল হয়নি। টাকি পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রিজিয়া বেগমের অভিযোগ, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিফর্ম করার জন্য ১৮০০০ মিটার কাপড় পৌরসভার কয়েকজন আধিকারিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চুরি করে বিক্রি করে দেন। কিন্তু এই বিষয়ে অভিযোগ করা হলে ১৪ হাজার মিটার কাপড় টাকি পৌরসভায় উদ্ধার করে আনা হয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের আমরা শাস্তি চাই।
তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পৌরপ্রধান সোমনাথ মুখার্জি। তিনি জানান, ‘‘পৌরসভার এনইউএলএম দপ্তর থেকে এই টাকা বরাদ্দ হয়েছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিফর্ম তৈরি করার জন্য। পৌরসভার কিছু কর্মী, তারা এই কাপড় চুরি করে বিক্রি দেয় এবং কাউন্সিলর আমার কাছে অভিযোগও করে। ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজীর সহযোগিতায় আমরা সেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিল আটকে দিয়ে তদন্ত শুরু করি। অবশেষে ১৪ হাজার মিটার কাপড় উদ্ধার হয়েছে। পৌরসভার যে সমস্ত সরকারি কর্মী এই ঘটনায় জড়িত ছিল তাদের ঘর ইতিমধ্যে তালা মেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত আধিকারিকদের নাম রয়েছে তারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত  প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে আধিকারিকরা যেভাবে চুরি করেছে তার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই আমি যখন জানতে পেরেছি তখনই ব্যবস্থা নিয়েছি’’।

Comments :0

Login to leave a comment