NTA PROTEST

শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ, এনটিএ বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ

জাতীয়

পরীক্ষা সংস্থা এনটিএ বাতিল করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। ফের এই দাবিতে সরব হয়েছে এসএফআই। শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে বিক্ষোভ। এদিনই বিক্ষোভের জেরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যোগ দিবস’ অনুষ্ঠান থেকে সরে থাকতে হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। 
এসএফআই কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে, ‘‘ইউজিসি-নেট বাতিলের পাশাপাশি নিট এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষা সিইউইটি ঘিরেও অভিযোগ বহু। একের পর এক অসঙ্গতি বেরিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দাবি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।’’
এসএফআই’র মতো ছাত্র সংগঠন তো বটেই, শিক্ষা মহলের বিরাট অংশই পরীক্ষা ব্যবস্থার এই কেন্দ্রীকরণের বিপক্ষে মত জানিয়েছে। এসএফআই বলেছে, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতির দৃষ্টিভঙ্গিই দেখা গিয়েছে এনটিএ তৈরির নীতিতে। তার উদ্দেশ্য হলো কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বেসরকারি কোচিং ব্যবসার চাষ করা। তার ফলে শিক্ষা আঙিনা থেকে প্রান্তিক অংশকে ছিটকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। কোনও সন্দেহ নেই যে বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারই এই বিপুল দুর্নীতির জন্য দায়ী।’’
৬ জুলাই থেকে শুরু হবে মেডিক্যালের স্নাতক স্তরে ভর্তির পর্ব। তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। শুক্রবারও শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং এসভি ভাট্টির বেঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করার আবেদন নাকচ করেছে। গ্রেস মার্কস দেওয়ার হয়েছিল এমন ১৫৬৩ জনের বাড়তি নম্বর বাতিল করে ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিএ। এই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আবেদন পড়েছিল। কারণ গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়েছিল বিরাট দুর্নীতি চক্রের যোগসাজশে, রয়েছে এই অভিযোগ। ফলে তাদের পরীক্ষা নিলেও সেখানে কারসাজি হবে না তার নিশ্চয়তা নেই বলে মনে করছে বিভিন্ন অংশ। বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট সব আবেদনের শুনানি ৮ জুলাই করবে বলে জানিয়েছে। 
আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন ১৫৬৩ জনের মধ্যে ৭৫৩ পরীক্ষার্থী যোগ্যতামানে পৌঁছায়নি। তাদেরও কেন ফের সুযোগ দেওয়া হবে?   
এসএফআই’র সর্বভারতীয় সভাপতি ভিপি সানু এবং সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘নেট বাতিল হওয়ায় এই বছর গবেষণায় আগ্রহী বহু ছাত্রছাত্রী সমস্যায় পড়ল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজস্ব পরীক্ষা নিতে বলা হোক। পিএইচডি’র জন্য নেট বাধ্যতামূলক করতে বারণ করা হোক।’’ এসএফআই বলেছে, ‘‘এনটিএ কর্তৃপক্ষ কেবল পরীক্ষার্থীরদের সময় শ্রম নষ্ট করছে না, তাদের গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যেও ফেলে রাখছে। গবেষণায় নিয়োজিত হতে চান এমন হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ইচ্ছাকে চূড়ান্ত অসম্মান করা হচ্ছে। স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্ত হওয়া জরুরি।’’

Comments :0

Login to leave a comment