মালদহ সদরের মহকুমা শাসকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তান। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ শহরের বাঁধরোড এলাকায়।
মৃত পাপ্পু দাস (৩৮)-এর বাড়ি পুরাতন মালদহের বালা সাহাপুর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার স্ত্রী সিমি দাস (৩০) ও মেয়ে অদৃজা দাসকে (৭) নিয়ে মাধবনগরের মহেশপুরে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন পাপ্পু দাস। রাতে তাঁরা মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মালদহ ক্লাব সংলগ্ন বাঁধরোড এলাকায় মালদহ সদরের মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানোর গাড়ি উলটো দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে। অভিযোগ, মহকুমা শাসক নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে ছিটকে পড়েন সিমি দাস এবং অদৃজা। গাড়িটি মোটরবাইক সহ পাপ্পু দাসকে দেওয়ালে ঠেসে দেয়। স্থানীয়রা মহকুমা শাসকের গাড়ি থেকে টেনে পাপ্পু দাসকে উদ্ধার করেন। তিনজনকেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। সোমবার সকালে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় পাপ্পু দাসের। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মৃতের এক বন্ধু কৃষ্ণ ঘোষ এদিন জানান, “আমাদের না জানিয়ে পাপ্পুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা ধাওয়া করে মর্গের সামনে থেকে মৃতদেহ ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি।"
মৃতের স্ত্রী সিমি দাস বলেন, "মালদহ ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বাম দিক থেকে একটি গাড়ি আসছিল। গাড়িটি এসডিওর ছিল। এসডিও সুরেশচন্দ্র রানো নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িটি দেখে আমার স্বামী তাঁর মোটরবাইক ডানদিকে সরিয়ে নেওয়ার পরেও উনি গাড়ি নিয়ে আমাদের গাড়িকে ঠেসে দেন। আমার স্বামী পিষে যান। আজ সকালে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এসডিও সাহেব এখন ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। পুলিশও বিষয়টা ধামাচাপা দিতে চাইছে।”
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহে। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাস্থলের কাছে একটি ক্লাবে রবিবার অনুষ্ঠান ছিল। এসেছিলেন চিত্রতারকা গোবিন্দা। সেখানে ছিলেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি এবং মহকুমা শাসকও। সেখান থেকে ফেরার পথেই তিনি বেপরোয়া গাড়ি চালিয়েছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
Comments :0