Shoot Out

এবার বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ

রাজ্য

Shoot Out

এবার বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ কনস্টেবল।তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ গোলযোগ মেটাতে গিয়ে তৃণমূল নেতার ছোঁড়া গুলিতে বসিরহাট থানার পুলিশ কনস্টেবল প্রভাত সরকার গুলিবিদ্ধ হয়। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ ওই পুলিশ কর্মীকে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্যত্র তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় পুলিশ তৃণমূল নেতার ছেলে সহ  ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

মঙ্গলবার ধৃতদের তোলা হবে বসিরহাট মহকুমা আদালতে‌। এলাকায় ব়্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নিমদাঁড়িয়া কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাঁকচুড়া বাজারে তৃণমূলের দলীয় অফিসে। অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সদস্য কুখ্যাত গরু পাচারকারী তৃণমূলের শাহানূর মণ্ডলের সাথে দীর্ঘদিনের বিবাদ স্থানীয় তৃণমূল নেতা সিরাজুল বেশের। আর তা থেকেই সোমবার রাতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
স্থানীয়দের দাবি পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা নির্দোশ। 

 

 

 

 

অভিযোগ গুলি চালিয়েছে শাহানূর মন্ডলের ছেলে। গোটা ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে এবং আসল অপ‍রাধীদের আড়াল করতে মঙ্গলবার সকালে শাহানূর মণ্ডলের অনুগামীরা। দন্ডিরহাট বাজারে টাকী রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে।

 

 

 

এর পাশাপাশি ঘটনার মূল চক্রী ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর অনুগামীরা বসিরহাট থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সাথে ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধে যায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি মূল অভিযুক্তকে আড়াল কেন করা হচ্ছে? যারা নিরপরাধ কেন তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে?পুলিশের সাথে বাদানুবাদ থাকে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ বাধ্য হয় লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিতে। 

 

 

বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বসিরহাট থানাকে। থানায় বিক্ষোভ চলাকালীন বিক্ষোভকারীদের। ছোড়া ইটের আঘাতে এক পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হয়। পুলিশ তৃণমূল কর্মীদের খন্ডযুদ্ধে থানার সামনে ইটিন্ডা রোড অবরোধ হয়ে যায়। ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।

 

তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ঠেকাতে গিয়েপুলিশ কর্মী গুলিবিদ্ধ। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? ইতিমধ্যে বসিরহাটের সর্বত্রই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

 

 

এদিকে মঙ্গলবার ধৃত তৃণমূল নেতা সিরাজুল বেশে,তার ছেলে ওহাইদুল্লা বেশে,ভাই আরিজুল বেশে সহ ৪১জনক বসিরহাট মহকুমা আদালতের এ সি জে এম ইন্দ্রাণী গুপ্তর এজলাসে তোলা হয়। আদালত অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবীদের ও সরকার পক্ষে আইনজীবীর সওয়াল জবাব শেষে অভিযুক্ত সিরাজুল বেশে তার ছেলে ও ভাই সহ ৪ জনকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকি ৩৭ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Comments :0

Login to leave a comment