ডামডিম চা বাগান এলাকায় টানা কয়েকদিন ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি অসুস্থ পূর্ণবয়স্ক হাতি। মঙ্গলবার সকালেও হাতিটিকে দেখা গিয়েছে। তার দুর্বলতা ও অসহায় অবস্থাই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে স্থানীয়দের।
এলাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে বন দপ্তরের কুইক রেসপন্স টিম দ্রুত পৌঁছায়। মাল বন্যপ্রাণ শাখার বনকর্মীরা হাতিটির প্রতিটি নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করলেও স্থানীয়দের প্রশ্ন— ‘‘শুধু নজরদারি নয়, প্রয়োজন চিকিৎসা। কিন্তু চিকিৎসা কোথায়?”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিন-চার দিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় লোকালয়ে ঘুরলেও এখনও পর্যন্ত চিকিৎসার কোনও দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি বনদপ্তর।
বনদপ্তরের দাবি, খাদ্যসংকট, করিডর দখল এবং বনাঞ্চলে ক্রমাগত চাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে হাতিটি দলছুট হয়ে অসুস্থ হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকালয়ে ঢুকে পড়া অসুস্থ হাতির ক্ষেত্রে দ্রুত ট্রাঙ্কুলাইজ করে শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা জরুরি— না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। ঠিক এই জায়গাতেই উঠে আসছে গাফিলতির অভিযোগ।
ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায় গত তিন সপ্তাহে হাতির হানা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বনদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মেটেলি, বানারহাট, নাগরাকাটা ও মাদারিহাটে দেড়শো একরেরও বেশি ধানখেত নষ্ট হয়েছে। অন্তত পনেরোটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে এক বা একাধিক হাতি।
এই পরিস্থিতিতে ডামডিমের অসুস্থ হাতিটির উপস্থিতি আরও আতঙ্ক বাড়িয়েছে।
বনদপ্তর জানিয়েছে হাতিটিকে তার পরিচিত করিডরে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন— “চারদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় হাতি লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তবুও চিকিৎসক পাঠানো হয়নি কেন?”
Sick Elephant
চার দিন ধরে ঘুরছে অসুস্থ হাতি, চিকিৎসা কোথায়, প্রশ্ন ডামডিমে
×
Comments :0