কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে ফারাক বিস্তর। রয়েছে বিপুল ক্ষোভ। সেই ক্ষোভে কিছুটা মলম দিতে এপ্রিল মাস থেকে বর্ধিত হারে এরাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল তৃণমূল সরকার। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তারপরেই অর্থদপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়।
যদিও এই ঘোষণার পরেও কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ’র হারের ফারাক ৩২ শতাংশ।
লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা হয়েছিল, মে মাস থেকে ৪ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্তরাও পেনশনের সঙ্গে এই হারে ডিএ পাবেন। জুলাই মাসের বেতন এবং পেনশনের সঙ্গে বর্ধিত অর্থ কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে ডিএ বকেয়া। নিজেদের অধিকারের জন্য পথে নেমে আন্দোলন করেন সরকারি কর্মচারীরা। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ান। শহীদ মিনার ময়দানেও অবস্থান চালান সরকারি কর্মচারীরা।
জনমতের চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হয় মমতা ব্যানার্জি প্রশাসন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম দফায় ৪ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের বাজেটে ফের একদফায় ৪ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার কথা জানান মমতা ব্যানার্জি।
আন্দোলনের চাপে কিছুটা ডিএ বাড়লেও, কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ডিএ’র ফারাক এখনও ৩২ শতাংশ।
সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের নেতৃত্ব বলছেন, এরাজ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ’র ফারাক ৩২ শতাংশ। অপরদিকে সিকিমের মত ছোট রাজ্য ৪৬ শতাংশ ডিএ দেয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের, যা কেন্দ্রীয় হারের থেকেও বেশি।
এই অংশের মতে, দীর্ঘদিন ধরে ডিএ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা চালিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূল সরকারের তরফে একাধিকবার বলা হয়, রাজ্য সরকারের তরফে ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু আন্দোলনের চাপে সরকারকে বাধ্য করা গিয়েছে অবস্থান বদল করতে।
Comments :0