Raiganj

পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, অভিযোগ পরীক্ষকের বিরুদ্ধে

জেলা

বিশ্বনাথ সিংহ - রায়গঞ্জ


বিএড কলেজে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণের ও তাদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ বিএড কলেজে। পরীক্ষক শুভজিত রায়কে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোড়ালো দাবি তুলেছে অবিভাবকেরা। 
সোমবার ছিলো বিএড কলেজে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। যে শিক্ষক ফাইনাল পরীক্ষা নিতে রাড়িয়া বি এড কলেজে তাঁর নাম শুভজিৎ রায়। তিনি রায়গঞ্জ সরকারি বিএড কলেজের ছবি আঁকার শিক্ষক। 
ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণের বিষয়ে আম্বেদকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। তবে এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ইউনিভার্সিটি কি করে জানাবে কে অধ্যাপক! কার বি এড বা এম এড যোগ্যতা আছে! শিক্ষকতা করার অধিকার আছে কি নেই! 
এব্যাপারে রায়গঞ্জ বি এড কলেজের প্রিন্সিপাল সেই শিক্ষকের নাম অনুমোদনের জন্যে পাঠিয়েছে। ফলে তাঁকে ইউনিভার্সিটি পরীক্ষা নিতে বলেছে। 
প্র্যাকটিক্যাল ফাইনাল পরীক্ষার দিন ধার্য ছিলো ৪ দিন। সোমবার হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। গোপন সূত্রে ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো অভিযোগ রেজিস্টারকে জানানো হয়েছে। সেই অভিযোগ পত্র জেলা জুড়ে স্যোসাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই শোরগোল পরে গেছে। জেলার শিক্ষানুরাগীদের দাবী,  অযোগ্য শিক্ষক কি করে বিএড কলেজে চাকরি করছেন। যেভাবে ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করেছে দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে যে কলেজে চাকরি করছে সেই কলেজের ছাত্রীদের পরিস্থিতি হবে ভয়ঙ্কর। 
সোমবারের ঘটনা প্রসঙ্গে সেদিন মৌখিকভাবে জানালেও মঙ্গলবার একাধিক ছাত্রী পৃথকভাবে প্রিন্সিপালের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। ছাত্রীদের অভিযোগ পরিক্ষা চলাকালীন তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়েছে এমনকি তাদের কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।   
রায়গঞ্জ বি এড কলেজের আর্টের শিক্ষক শুভজিত রায় পরীক্ষক হিসেবে যে কলেজে গিয়ে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দিয়েছে, অশালীন আচরণ করেছে সেই সেই কলেজের প্রিন্সিপাল কাম এইচ ও ডি হরিনাথ বিশ্বাস জানান,  সোমবার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষক ছাত্রীদের সাথে পরীক্ষার সময় অশালীন আচরণ করে, কটু মন্তব্য করেছে বলে ছাত্রীরা লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে দ্রুত ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষকে জানিয়ে মেইল করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি পরীক্ষককে কলেজ থেকে বেড় করে দেওয়ার কথা জানালেও তাঁকে স্বসম্মানে কলেজ থেকে চলে যাওয়ার জন্যে বলা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি থেকে আপাতত পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। 
পরীক্ষকের এই আচরণে জন্যে ক্ষুব্ধ অবিভাকেরাও। রায়গঞ্জ বিএড কলেজ থেকে অভিযুক্তকে কি করবে তা নিয়ে প্রিন্সিপাল মুখ খুলতে চাইলেন না। তবে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের জন্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যপারে প্রিন্সিপাল কাম এইচ ও ডি হরিনাথ বিশ্বাস জানান,  ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষ যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় তবে ছাত্রীদের স্বার্থে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার বক্তব্য, ‘‘বিএড শিক্ষকতা করার যোগ্যতায় নেই ওই শিক্ষকের। তাঁর কোয়ালিফিকেশন মাস্টার অফ ফাইন আর্টস। তাঁর আদৌ বিএড এবং এমএড’র যোগ্যতাই নেই’’।

Comments :0

Login to leave a comment