Sandeshkhali

সন্দেশখালি ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও দুই

রাজ্য

সন্দেশখালির ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দুজন। যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন আলি হোসেন ঘরামি এবং সঞ্জয় মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর মিনাখাঁর খড়িবেরিয়া থেকে আলি হোসেনকে এবং ন্যাজাট থেকে সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু মূল তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এখনও ফেরার।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কান্ডে নিয়ে তৎপর হয় ইডি। বনগাঁ সন্দেশখালিত একযোগে তল্লাশিতে নামে এবং সকাল ৭টা নাগাদ পৌঁছে যায় ঘটনা স্থলে। দীর্ঘসময় ডাকাডাকি করে বাড়ির কারোরো সাড়া না পেয়ে ভিতর থেকে লাগানো তালা ভেঙে শাজাহান সেখের বাড়িতে ঢুকতে গেলে সেখানে শ'য়ে শ'য়ে তৃণমূল কর্মী সশস্ত্র জড়ো হয়। ইডি আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।

এরপর উত্তেজনা তৈরী হলে ইডির আধিকারিকদের উপর চড়াও হয় শাজাহান বাহিনী। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত ও রক্তাক্ত হয় সংবাদমাধ্যম, ইডির আধিকারিকরা। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা এই মূহুর্তে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ইডির গাড়ি। এমনকী দুজন ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ইডি অফিসার সোমনাথ দত্ত রাজকুমার রায় গুরুতর আহত হন। তাদের মাথায় আঘাত লাগে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কোনক্রমে প্রাণে বাঁচতে ইডি অধিকার ও সি আর পি এর জওয়ানরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। প্রশ্ন উঠছে ইডি আধিকারীকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ার হাতে গোনা কয়েক মিনিটের মধ্যে শ'য়ে শ'য়ে তৃণমূল কর্মী সেখানে হাজির হলো কী ভাবে। তবে কী ইডি অভিযান হতে পারে ধরে নিয়ে জেলা পরিষদের প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ শাজাহান সেখ আগে থেকে দলীয় কর্মীদের জড়ো করে রেখেছিলেন ? পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 

Comments :0

Login to leave a comment