পঞ্চায়েত সমিতি যেন ঠিকাদারের "মামার বাড়ি"!
বরাত পেয়েছিলেন ৫ কিমি পাকা রাস্তা তৈরি করার। অথচ বাস্তবে মাত্র সাড়ে তিন কিমি রাস্তা পিচ ঢালাই হয়েছে। বাকি প্রায় আড়াই কিমি রাস্তা খোয়া বিছানো। পিচ হয়নি বিরাট অংশ রাস্তার। অথচ ঠিকাদার রাস্তার পাশে ৫ কিমি রাস্তা তৈরির ফলক লাগিয়ে দিয়ে সাইড ছেড়ে চলে গেছেন!
এরপরেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা অতুল মন্ডল বলেন, বাকি রাস্তা কেন পিচ ঢালাই হল না সেটা ভালো বলতে পারবে পঞ্চায়েত সমিতি। তবে বোর্ড থেকে জেনেছি হাজরাহাট বাজার থেকে উত্তর দৈভাঙ্গী অব্দি পিচ রাস্তা হওয়ার জন্য প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। আমরা চাই পুরো কাজ হোক।
আরেক বাসিন্দা, জ্যোৎস্না বর্মন বলেন, খোয়া বিছানো রাস্তায় বাচ্চাদের স্কুলে যেতে আসতে খুব কষ্ট হয়। ধূলোয় জেরবার হতে হয়। সামনে বর্ষা আসছে। সমস্যা বাড়বে। পঞ্চায়েত দেখুক টাকাটা কেউ যেন হজম করে ফেলে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সুর বদলাচ্ছেন তৃনমুলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুপন শীল শর্মা ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজিবুল হাসান। দুজনেই বলছেন, ‘বাকি কাজ হবে। দেখছি বিষয়টা ঠিক কি হয়েছে।’ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিপাকে পড়ে এখন বলছেন, বাকি রাস্তাও তৈরি হবে।
Comments :0