লোকসভা ভোটের মুখে এবার চাকরির ‘টোপ’ রাজ্যের। সরকারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের গ্যাজেট প্রকাশ হল। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষকতার পদে আবেদন করতে পারবেন যোগ্য প্রার্থীরা, জানানো হয়েছে গ্যাজেটে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের গ্যাজেট প্রকাশিত হয়েছে। শেষবার ২০১৭ সালে এই নিয়োগ হওয়ার পরে বন্ধ হয়ে যায় নতুন নিয়োগ। অন্যদিকে এসএসসি কেলেঙ্কারির জেরে শিক্ষককতার চাকরির যা হাল, পিএসসি’র নিয়োগ সেই সংকটকে হ্রাস করতে পারেনি। অন্তত ৮৫০ শিক্ষক নিয়োগ করা হলেও তা নিতান্তই কম ছিল। অভিযোগ ওঠে স্কুল এবং ছাত্র অনুপাতে কম শিক্ষক নিয়োগ করার। অন্যদিকে নতুন নিয়োগ না করে অবসরপ্তাপ্তদের দিয়েই চুক্তির ভিত্তিতে কাজ চালানো হচ্ছিল।
ফলে শিক্ষকের অভাব রয়েই গিয়েছে। নিয়োগের দাবিতে একাধিকবার আন্দোলন হলেও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেনি পিএসসি। অন্যদিকে এদিনের যে গ্যাজেট প্রকাশিত হয়েছে তাতেও অসঙ্গতি রয়েছে। গ্যাজেট বিবৃতিতে কোথাও কাট অফ মার্ক্সের কোনো উল্লেখ নেই। ঠিক কত নম্বর পেলেএকজন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হবেন সেটা নির্ভর করছে তা রাজ্যের ‘‘ইচ্ছাধীন’’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও এসএসসি দুর্নীতির মতো পক্ষপাতমূলকভাবে কাট অফ নম্বরের হেরফের করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই গেল।
বছরের পর বছর পথে বসে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভরত যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র না-দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ডেকে কাজ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। এখন দেখার আদৌ কবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি নাকি ভোটের মুখে চাকরির টোপ দিয়েই চুপ করে যায়।
Comments :0