TMC Coochbehar

লাগাতার অত্যাচার তৃণমূলের, এবার মুখ খুললেন দিনহাটার মহিলারা

রাজ্য জেলা

 

সন্দেশখালির ছায়া এবার কোচবিহার জেলার দিনহাটাতেও, মহিলাদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। 

দিনহাটা বুড়িরহাটের একটি গ্রামের এক মহিলার ভিডিও বক্তব্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেই ভিডিও বক্তব্যে মধ্যবয়সী এই মহিলা অভিযোগ করে বলছেন গভীর রাতে তাকে 'পিঠে বানানোর' জন্য ডাকা হতো স্থানীয় তৃণমূল অফিসে। এবিষয়ে তিনি দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, তৃণমূলের দিনহাটা শহর ব্লক সভাপতি বিশু ধর এবং তৃণমূলের দিনহাটা ২নং ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্যের নাম করেই অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তাকে বলতে শোনা যায়, এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। 

  তার বক্তব্য অনুযায়ী, মাঝেমধ্যেই রাত ১২টায় স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে তাকে পিঠে বানানোর জন্য যেতে বলা হত তাকে। তবে প্রতিবারই যেতে অস্বীকার করেন তিনি। রীতিমতো হাতজোড় করে তিনি বলেন, আমাকে কি আপনারা বাঁচতে দেবেন না, কিন্তু তারপরেও তাকে বারবার এত রাতে পার্টি অফিসে যেতে চাপ দেওয়া হয়। শুধু তাই-ই নয়, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের বুথ সভাপতি সম্প্রতিও তাকে আবার রাত ১২টার সময় পার্টি অফিসে যেতে বলেন। তিনি যেতে অস্বীকার করলে তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানান তিনি। পুলিশকে সাথে নিয়ে ভাঙচুর চালায় এই দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ এই মহিলার। তিনি বলেন কু-মতলবেই তাকে এত রাতে পার্টি অফিসে যেতে বলা হতো।

  সংশ্লিষ্ট এই মহিলার বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন এই গ্রামের একাধিক মহিলারাও। তাদের অভিযোগ বাড়িতে ঢুকে রীতিমত ধর্ষণ করার চেষ্টা হয়েছে তাদের। শুধু তাই-ই নয়, তাদের কাছ থেকে আলমারির চাবি নিয়ে দেদার লুট হয়েছে টাকা। আর এসবের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য প্রমুখেরা। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানো তো দূরের কথা, ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি তারা।

  এ বিষয়ে উদয়ন গুহ বলেন রাত ১২টার সময় পিঠে খাওয়ার মত খারাপ পরিস্থিতি এখনও তাদের আসেনি। রাত ১০টার পর তৃণমূলের কর্মী এবং নেতৃত্বরা বাইরে থাকেন না। লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিকে সামনে রেখে পিঠে খাওয়ার নাম করে নোংরা রাজনীতি করছে বিরোধীরা।

    এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে জনরোষ তৈরি হয়েছে। শেখ শাহাজান একটি উদাহরণ মাত্র, গোটা রাজ্যে এই তৃণমূল দলটি সমাজবিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কোচবিহার জেলার দিনহাটা বুড়িরহাট তার ব্যতিক্রম নয়। মানুষের ধৈর্যের বাঁধ যখন ভেঙ্গে যায়, মানুষ তখন তার নিজের জীবন ইত্যাদিকে বড় করে দেখেন না,তারা প্রতিবাদ করেন, তারা রাস্তায় নামেন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। এখানেও এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ তুলবেন সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, তৃণমূল দলটাই হচ্ছে ক্রিমিনালদের ধারক এবং বাহক। এদের প্রত্যেকের সাজা হওয়া উচিত।

 

Comments :0

Login to leave a comment