দেশে দরিদ্র ৪.৫ শতাংশ নয়। তার চেয়ে অনেক বেশি। শহরে ২৬.৪ শতাংশ এবং গ্রামে ২৭.৪ শতাংশ। সরকারি দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এই হিসেব দেওয়া হয়েছে নতুন একটি গবেষণা পত্রে।
‘রিভিউ অব এগ্রেরিয়ান স্টাডিজ’ গবেষণা পত্রিকায় এই সমীক্ষা পেশ করেছেন সিএ সেতু, অভিষেক সূর্য এবং সিএ রুথু। তাতে বলা হচ্ছে ভারতে প্রতি চারজনে একজনই দারিদ্রসীমার নিচে।
এই গবেষকরা ব্যবহার করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর সি রঙ্গরাজন কমিটির পদ্ধতি। রঙ্গরাজন কমিটি ২০১৪-তে জানিয়েছিল ২০১১-১২ পর্বে ভারতে শহরাঞ্চলে ২৬.৪ শতাংশ এবং গ্রামে ৩০.৯ শতাংশ দারিদ্রসীমার নিচে।
সে সময়ে কেন্দ্রে আসীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউপিএ সরকারকে এই তথ্য দিয়েই সমালোচনা করত বিজেপি। কিন্তু ২০১৪’র সাধারণ নির্বাচনের পর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গড়লেও দারিদ্রের মাপ বুঝতে সরকারি স্তরে সমীক্ষা আর চালায়নি। সরকারি স্তর থেকে দারিদ্র সীমা নির্দিষ্ট করা হয়নি। কেনাকাটার জন্য খরচ বা ভোগব্যয় সমীক্ষা বন্ধ রয়েছে ২০১২’র পর থেকে।
চলতি মাসেই স্টেট ব্যাঙ্ক একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে। বলা হয়েছে দেশে দারিদ্রের হার ৪ থেকে ৪.৫ শতাংশের মধ্যে। বলা হয়েছে, অতীতের তুলনায় গরিব মানুষ এখন ভারতে। আরও বলা হয়েছে, দেশে গ্রামে মাসে মাথাপিছু খরচ ৪, ১২২ টাকা। শহরে ৬৯৯৬ টাকা।
খরচ করার ক্ষমতা বাড়লে দারিদ্র কমেছে ধরে নেওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু খরচ হিসেবের পদ্ধতি নিয়েই বিভিন্ন সময়ে নানা সমীক্ষা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
নতুন সমীক্ষায় স্টেট ব্যাঙ্কের সমীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। দারিদ্রসীমাও টাকার অঙ্কে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গ্রামে দারিদ্রসীমা ২,৫১৫ টাকা। শহরে ৩,৬৩৯ টাকা। এই স্তরের নিচে বা দারিদ্রসীমার নিচে গ্রামে জনসংখ্যার ২৭.৪ শতাংশ। শহরে এই হার ২৬.৪ শতাংশ।
Poverty India
দেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন দরিদ্র, বলছে নতুন সমীক্ষা
×
Comments :0