CPI(M) ONE VOTE

এক দেশ এক ভোট’: গণতান্ত্রিক সব দলকে বিরোধিতার আহ্বান সিপিআই(এম)’র

জাতীয়

‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি চালুর জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়াসের বিরোধিতা করবে সিপিআই(এম)। বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে এই অবস্থান ফের স্পষ্ট করেছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক, বহুত্ববাদ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পক্ষে রয়েছে এমন সব রাজনৈতিক দলকে দৃঢ়তার সঙ্গে এই প্রয়াস রুখতে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি আসলে আরএসএস-বিজেপি’র মাথা থেকে তৈরি যার লক্ষ্য এক কেন্দ্রবিশিষ্ট চরম কেন্দ্রীভূত রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রে ক্ষমতা থাকবে কেবল একজন নেতারই হাতে। 
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক এবং পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, এই প্রকল্প আসলে আরএসএস’র ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে। আরএসএস চায় এক ধর্ম, এক ভাষা, এক জাতি, এক দল, এক নেতা।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির লক্ষ্যে তৈরি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় একাধিক সাংবিধানিক সংশোধন সংদে পাশ করানোর লক্ষ্যে চলবে সরকার। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলই এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।
সুপারিশ অনুযায়ী, কেবল লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোটই নয়, সব রাজ্যে পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার ভোটও একসঙ্গে করাতে হবে। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, সুপারিশ মানা হলে লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব বিধানসভার ভোট করাতে হবে। ফলে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভোট করাতে হবে। কোনও রাজ্যে সরকার পড়ে গেলে এবং বিধানসভা ভেঙে দিতে হলে মধ্যবর্তী নির্বাচন করাতে হবে। কিন্তু সেই নির্বাচন থেকে যে সরকার তৈরি হবে তা পুরো পাঁচ বছর চলতে পারবে না। বিধানসভার বাকি মেয়াদের জন্যই কেবল সেই সরকার থাকতে পারবে। এমন সব নীতিতেই নাগরিকদের পাঁচ বছরের জন্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর কোপ পড়বে। 
পলিট ব্যুরো বলেছে যে মধ্যবর্তী নির্বাচন করাতে হবে। সেক্ষেত্রে এক সঙ্গে সব নির্বাচনের ঘোষিত লক্ষ্যও পূরণ হয় না। 
সুপারিশে বলা হয়েছে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা যেমন পঞ্চায়েত বা পৌরসভার ভোটও একসঙ্গে করাতে হবে। পলিট ব্যুরো বলেছে, কেন্দ্রীকরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা এমন উদ্যোগ। স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যেই আঘাত করা হবে। এই সংস্থাগুলি পরিচালিত হয় রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে। রাজ্য সরকারের সেই ক্ষমতাও কেড়ে নেওয়া হবে। ভারতের মতো বৈচিত্রের দেশে এমন প্রস্তাব একেবারেই অবাস্তব।

Comments :0

Login to leave a comment